পেকুয়ায় অপহৃত ২ শিশু উদ্ধার
- চকরিয়া উপকূল সংবাদদাতা
- ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
কক্সবাজারের পেকুয়ায় অপহৃত দুই শিশুকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে একদল কিশোর গ্যাং সহোদর ওই দুই শিশুকে জোরপূর্বক একটি বাড়িতে আটকিয়ে রেখেছিল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ সময় শঙ্কিত এ দুই শিশুর স্বজনরা পুলিশের ত্রিপল নাইনে ফোন করে। ৮ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাতবরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত দুই শিশুর নাম সাইমন ইসলাম (১২) ও তানভীর মেহেরাব আহাদ (৯)। তাদের পিতার নাম বোরহান উদ্দিন। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পূর্ব পুঁইছড়িতে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানার এএসআই সাঈজুদ্দিনসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন বিকেলে সাইমুন ইসলাম আকাশ ও তার ছোট ভাই তানভীর মেহেরাব আহাদ মাতবরপাড়ার নানা হাসেম পিটারের বাড়ি থেকে হাজী মার্কেটের দিকে যাচ্ছিল। তাদেরকে এ সময় স্থানীয় কয়েকজনের একটি চক্র উঠিয়ে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। তারা এ দুই শিশুকে ওই বাড়িতে মারধরসহ প্রায় ২ ঘণ্টা আটকিয়ে রাখে। শিশু সাইমন ইসলাম আকাশ ও তানভির মেহেরাব আহাদের মা সাবরিনা মোস্তফা রিকু বলেন, আমার স্বামী মালয়েশিয়ায় থাকে। শ্বশুর বাড়ি বাঁশখালীর পূর্ব পুঁইছড়ি এলাকায়। আমি মাতবরপাড়ায় বাবার বাড়িতে প্রায় দুই বছর ধরে আছি। আমার বাবা-মা ভাইবোনদের পড়ালেখার সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন। আমার দুই ছেলে রাজাখালীতে পড়ালেখা করে। একজন ফৈয়জুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণী, ছোটটা পড়ে এখানকার জামিয়াতুল নুরানী মাদরাসায়। ওই দিন হাজী মার্কেটের যাওয়ার সময় আমার দুই ছেলেকে অপহরণ করা হয়। বাবুলের বাড়িতে আটকিয়ে রাখে। দুই শিশুর নানা আবুল হাসেম প্রকাশ হাসেম পিটার জানান, এটি পরিকল্পিত ঘটনা। এর আগে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আমার ভাইপো কলেজছাত্র আশরাফুল ইসলাম আবিদকে মারধর করে। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আবারো আমার দুই নাতিকে অপহরণ করে। সম্প্রতি মাতবরপাড়ায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়েছে। চেয়ারম্যান সাহেবকে আমরা বিষয়টি অবহিত করেছি।
লবণচাষি নাছির উদ্দিন জানান, আমিসহ স্থানীয়রা গিয়ে তারা দুই ভাইকে উদ্ধার করেছি। দুই শিশুর মামা পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, আমিও একজন পুলিশ সদস্য। এ বাড়িতে আরেকজন চাচাতো ভাই সেনাবাহিনীতে চাকরি করে। আমি শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। নিজের গ্রামে এ ধরনের আচরণ খুবই চিন্তার বিষয়। পেকুয়া থানার এএসআই সাঈজুদ্দিন জানান, ফোন পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে কিছু উঠতি বয়সী ছেলেকে সতর্ক করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা