১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বরিশাল লোডশেডিং ও চুয়াডাঙ্গায় ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর

-


বরিশাল নগরবাসী অসহনীয় লোডশেডিং আর তীব্র দাবদাহে পুড়ছে। চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎ থাকলেও ভ্যাপসা গরমে চরম ভোগান্তির কারণে হাঁসফাঁস করছেন নগরবাসী।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল নগরীতে চাহিদার চেয়ে প্রায় প্রতিদিনই ৩০-৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকায় লোডশেডিংয়ের কারণে উত্তাপে পুড়ছে নগরবাসী। ঈদকে কেন্দ্র করে শপিংমল ও কারখানা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আবাসিক এলাকায় বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে। এ কারণে গত কয়েক দিনের লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে বরিশালের এক লাখ ২০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক পরিবারের। বিদ্যুতের গ্রাহক ব্যবসায়ী সুমন বলেন, গরম বৃদ্ধির সাথে সাথে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়েছে। এ কারণে ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি মিলছে না। গরমে আমরা খুব কষ্টে আছি।

নগরীর প্যারারা রোডের বাসিন্দা মারুফ হাওলাদার বলেন, একাধিকবার লোডশেডিংয়ের কারণে ইফতার ও সেহেরির আগে-পরের সময়ে গরমে চরম ভোগান্তি হয়। এ সমস্যা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) বরিশালের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রুবেল কুমার দে বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এ ছাড়া শপিংমলে বিক্রি বেড়েছে, তাই রাত অবধি শপিংমল খোলা থাকছে। একই সময়ে জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গায় টানা বেশ ক’দিন ধরেই ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস দশা নগরবাসীর। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরম পড়ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত আর্দ্রতা কমবে না।
গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৫৫ শতাংশ।
রাত পোহালেই ২৩ চৈত্র, জেলায় এখন পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির দেখা নেই। চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা বেশ কয়েক দিন ধরে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মাঝামাঝি। জেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বেশি সমস্যায় পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষ। দুপুরের পর থেকে সড়ক ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সূর্যের প্রখরতা, ভ্যাপসা গরম ও বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছে। এদিন দুপুর ১২টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৯ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। গত সোমবার ১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার মাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ছিল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বৃহস্পপতিবার ৩৮ দশমিক২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। সাধারণ মানুষের সাথে রোজাদাররা কষ্টে আছেন।
চুয়াডাঙ্গা হাসান চত্বরে এক রিকশা চালক বলেন যখন প্যাডেল মেরে রিকশা চালিয়েছি, তখনো এত কষ্ট হয়নি। সামনে আর কয়েক দিন বাদে ঈদ, অতি গরমের কারণে মানুষ রাস্তায় কম বের হচ্ছে। এজন্য আমাদের ভাড়া হচ্ছে না। এজন্য ছেলেমেয় নিয়ে কষ্টে আছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement