১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

স্মার্ট জেনারেশন তৈরিতে এআই আইন গুরুত্বপূর্ণ : আইনমন্ত্রী

-


আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জেনারেশন (প্রজন্ম) তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভালো-মন্দ উভয় দিকই রয়েছে। এতে ভীত হওয়ার কিছু নেই। মন্দ দিকগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ।
গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন, ২০২৪ এর খসড়া তৈরি নিয়ে অংশীজন সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আইন প্রণয়নের একটি কর্মপদ্ধতি আছে। যখনই কোনো আইন প্রণয়ন করা হয় তখন এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় এবং অংশীজনদের সাথে কথা বলে তাদের মতামত নেয়া হয়। তাদের মতামত নিয়ে আইন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, এর আগে কোন আইনের একটি ড্রাফট (খসড়া) তৈরি করে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হতো। এখন অংশীজনদের মতামত নিয়ে আমরা ড্রাফট তৈরি করতে চাই। সে কারণেই এআই আইনের অংশীজনদের নিয়ে আজকের এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। আজ তাদের মতামত শোনা হলো। এরপর আবারো তাদের সাথে আলোচনা করা হবে এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ আইনটির চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে এ বিষয়ে আইন না করে উপায় নেই। তবে প্রথম পর্যায়ে এ আইনে যথেষ্ট ফ্লেক্সিবিলিটি (নমনীয়তা) থাকতে হবে। শুধু যে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার হবে, সেখানে একটু শক্ত হতে হবে।

আনিসুল হক যুক্তি দেখিয়ে বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন ও পলিসির মধ্যে একটি সমন্বয় থাকতে হবে। কারণ পলিসির বাইরে আইন করে লাভ নেই। আবার আইনের বাইরে পলিসি করা অর্থহীন।
সভায় সভাপতির বক্তৃতায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি মোকাবেলা এবং সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্যই এআই অত্যন্ত প্রয়োজন।
এ আইয়ের ঝুঁকি কতটুকু তার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্কটি ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছিলেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে ফেক ফটো প্রচার করা হয়েছে। এভাবে ভয়েস ও ছবি ব্যবহার করে অনেক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে সাইবার জগতে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো: মহিউদ্দিন আহমেদ ও ভাইস চেয়ারম্যান মো: আমিনুল হকসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিসহ সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা সভায় অংশ নেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দুর্নীতি কে প্রশয় দেয়া হবে না : জাতীয় নাগরিক কমিটি ফতুল্লা থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশাল থেকে উদ্ধার মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চুয়েটে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা তামিমের ঝড়ে জয় পেল চট্টগ্রাম তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সকল