ন্যাশনাল মেডিক্যালে দুর্নীতি বন্ধের দাবি

রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক কর্মকর্তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা বন্ধ এবং বিনা কারণে কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চিকিৎসক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
গতকাল দুপুরে হাসপাতালের মূল ফটকে টানা তৃতীয় দিনের মতো তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে তারা বলেন, ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। হাসপাতালের পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ আরো কয়েকজন মিলে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাড়াই নিজেদের পছন্দ মতো কোম্পানির কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে সিটি স্ক্যান, এমআরআইর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি কিনে হাসপাতালের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন।
শুধু তাই নয় বিগত দিনে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ গরিব রোগীদের ফ্রি বেডসহ চিকিৎসা বাবদ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেতো সেটাও বন্ধ করে দিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালকসহ একটি মহল। অবিলম্বে আমাদের সেই সুবিধাগুলো আবারো ফিরিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই যখন যাকে ইচ্ছে তাকেই চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে বিগত দিনে তাদেরকেও আবারো চাকরিতে ফিরিয়ে আনতে হবে। এ সময় তারা নবনিযুক্ত গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ঢাকা-৫ আসনের এমপি সাঈদ খোকনের কাছে বিগত দিনে চলমান সব ধরনের দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিয়ে চিকিৎসার একটি সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে ন্যাশনাল মেডিক্যাল স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা: মোস্তাফিজুর রহমান মিজান বলেন, আমরা চাই ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে চলমান সব দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে অতি দ্রুত জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধামন্ত্রীর একটা অঙ্গীকার হচ্ছে দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ উপহার দেবেন। এই হাসপাতালের বর্তমান গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন। তিনি ঘোষণা করছেন দুর্নীতি মুক্ত ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ উপহার দিবেন আমাদের। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নানা দুর্নীতি, টেন্ডার বাণিজ্য ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে আজ আমাদের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের তিন দিনের মতো কর্মসূচি চলছে।