রাজবাড়ীতে ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেট আটক
- রাজবাড়ী প্রতিনিধি
- ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
রাজবাড়ী থেকে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে মুক্তা পারভিন (৩৪) নামে এক নারী প্রতারককে আটক করেছেন র্যাব-১০ সদস্যরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী শহরের অনুপম মার্কেট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মুক্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে এক কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেতার অভিযোগ রয়েছে।
মুক্তা পারভিন নওগাঁ জেলার ধামইরহাট থানার লোদীপুর গ্রামের মো: মোজাহারুল ইসলামের মেয়ে। মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে র্যাব-১০। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজশাহীর বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি সঙ্ঘবন্ধ প্রতারক চক্র নিজেদেরকে কখনো হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট কখনো ডিজিএফআই’র মেজর ইত্যাদি পরিচয় দিয়ে সহজ সরল ও নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। চক্রটি রাজশাহী জেলার চন্দ্রিমা থানাধীন ছোট বনগ্রাম এলাকার শেখ আব্দুল্লাহ (৩৭), পিতা-মৃত ইমাম শেখের কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে সর্বমোট এক কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ভিকটিম শেখ আব্দুল্লাহ বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে ভিকটিম শেখ আব্দুল্লাহ বাদি হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা মুক্তা পারভিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-০৩, তারিখ-০৩/০৩/২০২৪ইং)। এরপর মামলার বিষয়টি জানতে পেরে চক্রের সব আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।
ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-১০-এর একটি আভিযানিক দল ওই প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ এপ্রিল র্যাব-১০-এর আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ী জেলার সদর এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে ভুয়া হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মুক্তা পারভিনকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মুক্তা প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা বলে স্বীকার করেছে। সেই সাথে মুক্তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা