১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নোয়াখালীর ২ নাবিকের পরিবারে নেই ঈদ আনন্দ : দিন কাটছে উৎকণ্ঠায়

-


ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে জিম্মি নোয়াখালীর নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু (২৭) ও ছালেহ আহমদের (৪৩) পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ। প্রতি মুহূর্ত কাটছে এই পরিবারের চরম উৎকণ্ঠায় ।
গতকাল বুধবার দুই অপহৃত নাবিকদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্য ঈদগুলো খুশির থাকলেও এবার ঈদ পূর্ব তাদের দিন কাটাছেন নীরব কান্নায়। একই সাথে বয়ে বেড়াচ্ছে শঙ্কা। পরিবারের উপার্জনশীল প্রিয় ব্যক্তিদের বন্দিদশায় থাকায় তলিয়ে গেছে তাদের ঈদ আনন্দ। চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের ছালে আহামদ এর স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে তাদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ফাইটার পদে কর্মরত ছালেহ আহমদ গত বছর ঈদ করেছেন কর্মস্থলে। স্ত্রী ও তিন কন্যার আশা ছিল এবার তাদের সাথে ঈদ করবেন সালে আহমদ। কিন্তুস্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে এলোমেলো হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবন। প্রতি মুহূর্তে উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে পরিবারটি। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ স্ত্রী তানিয়া আক্তার।
স্থানীয়রা বলেন, অপহৃত নাবিকদের ভাগ্যে কী ঘটবে সেই শঙ্কায় ঈদের আনন্দ নেই জিম্মি নাবিকদের পরিবারে। ছালেহ আহমদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, এখন নিজেরা নিজেদের সান্তনা দিতে চেষ্টা করছি এ চিন্তা করে এখনো সময় আছে স্বামী ফিরবে। সরকার নাবিকদের ঈদের আগে ফিরিয়ে আনবে এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।

জলদস্যুদের হাতে অপর জিম্মি রাজু নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে। রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার বলেন, রাজু বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত নভেম্বরের শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠে। এরপর গত ২২ দিন ছেলের বন্দিদশায় বদলে গেছে পরিবারের চিত্র। ঈদের আগেই যেন আমার সন্তানসহ সকল নাবিকের মুক্তির ব্যবস্থা করে সরকার।
রাজুর মা দৌলত আরা বেগম বলেন, আমরা খুবই কষ্টে দিন অতিবাহিত করছি। সরকার ঈদের আগেই যেন আমার ছেলেসহ জিম্মি সবাইকে ছাড়িয়ে আনে। ছেলে ছাড়া আমাদের কোনো ঈদ আনন্দ নেই।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশী বাণিজ্য জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ জন নাবিকসহ অপহরণ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ২৩ নাবিকের মধ্যে ছিল নোয়াখালীর এই দুই যুবক।


আরো সংবাদ



premium cement