০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১, ৫ রজব ১৪৪৬
`

নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার পরিবেশ নিশ্চিতে আন্দোলন থেমে নেই : রিজভী

নয়াপল্টনে শ্রমজীবীদের ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন রুহুল কবির রিজভী : নয়া দিগন্ত -


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারবে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করার যে আন্দোলন সেটি থেমে নেই, সে আন্দোলন অব্যাহত আছে। গতকাল সোমবার সকালে নয়া পল্টন গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ১৮ সালে দেখেছি নিশিরাতে নির্বাচন, তার আগে দেখেছি একতরফা নির্বাচন, এবারে দেখলাম আমি আর ডামি নির্বাচন। এ সমস্ত ভেলকিবাজির নির্বাচন দিয়ে জনগণের দৃষ্টিকে আড়াল করা যাবে না।
তিনি বলেন, সত্যিকারের নির্বাচন যে নির্বাচনে ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারবে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করার যে আন্দোলন সেটি থেমে নেই, সে আন্দোলন অব্যাহত আছে।
ভারত গণতান্ত্রিক দেশ জানিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ার পরও প্রতিবেশী দেশ হিসেবে তারা বাংলাদেশের একটি দলকে পছন্দ করে। সেই সাথে এ দেশের সকল অবৈধ নির্বাচনে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতের এমন আচরণে একটি দেশের সাথে যে বন্ধুত্ব সেটি কিন্তু প্রতিফলিত হয় না। ভারতের নানা অন্যায় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ঢেউ চলছে। এটি ন্যায়সঙ্গত।
রিজভী বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনে দল হিসেবে বিএনপি কি করবে সেটা পরবর্তী ব্যাপার। জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী হিসেবে আমি মনে করেছি, ভারতের একের পর এক অবিচার, পানির ন্যায্য হিস্যা পাই না। অর্ধশতাব্দী ধরে দিচ্ছে না। প্রতিদিন ভারতের সীমান্তে আমাদের লোকজন মারা যাচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত একটি অরক্ষিত সীমান্ত। ভারতীয় পণ্য বর্জন সামাজিক আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত মনে করি।
এ দিকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে রিজভী বলেন, সরকারের অনাচার, অন্যায় ও লুটপাট সন্ত্রাসের সব কিছুর বিরুদ্ধে যদি একসাথে দাঁড়ানো যেত তবে শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় থাকতে পারত না। আজকে দাঁড়াতে পারছি না বলেই চোখের সামনে লুটপাটের কাহিনী।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় রিকশা শ্রমিকদের সম্মানে শ্রমিকদল এ ইফতার মাহফিল আয়োজন করে।
এ সময় রিজভী বলেন, ছাত্রলীগকে নির্মম, নিষ্ঠুর, দানব ও রক্তচোষা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারের মত প্রকাশ সহ্য করতে পারেনি। তাকে নির্যাতন করে তিনতলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগ।
তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতি বন্ধের জন্য দাবি জানিয়ে মিছিল করছে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ, কোন ছাত্ররাজনীতি? সন্ত্রাসের ছাত্ররাজনীতি। প্রতিপক্ষ ও বিপক্ষের হত্যা করার ছাত্ররাজনীতি। সেই ছাত্ররাজনীতি বন্ধের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল করছে। যদি সুস্থ ছাত্ররাজনীতি হতো তাহলে এক কথা ছিল। আবরার হত্যার ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার কথা বলেছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা: রফিকুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ তালুকদার, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আবদুর রহিম, ওলামা দলের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল ডা: তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাসদস্যদের প্রস্তুত রাখতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা খাদ্যগুদাম তৈরিতে পরামর্শক খরচই ২৯০ কোটি টাকা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল সফটওয়ার শিল্পে কর্মসংস্থান ও বিদেশী মুদ্রা হারানোর শঙ্কা তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন : সালাহউদ্দিন বাধ্যতামূলক ছুটি ৬ ব্যাংকের এমডিকে ভয়ঙ্কর রূপে তালিকাভুক্ত ৯৭৯ ছিনতাইকারী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিশ্বমানের উদ্যোগ আরামকোর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানানো হয়নি : সৌদি রাষ্ট্রদূত

সকল