কোর্স ক্লাস না নেয়ার অভিযোগ জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- আবদুল্লাহ আল মামুন জবি
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৭
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন অমান্য করে লিয়েন ছুটিতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোচনা শোভার বিরুদ্ধে। অনুমোদনহীনভাবে এক বছর ১০ মাস দুই দিন অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে রেজিস্ট্রার অফিস থেকে নোটিশও দেয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দর্শন বিভাগের শিক্ষক সোচনা শোভা ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট শিক্ষাছুটিতে যান। মোট ৬ বছর ৭ মাস ১০ দিন শিক্ষাছুটি ভোগ করে ৭ এপ্রিল ২০১৯ সালে কর্মস্থলে যোগদান করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০২০ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি লিয়েন ছুটির আবেদন করেন। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম যোগদানের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১১ হতে লিয়েন ছুটিতে যাওয়ার তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত সর্বমোট চাকরিকাল হতে ভোগকৃত মোট ছয় বছর সাত মাস ১০ দিন শিক্ষাছুটি বাদ দিলে সোচনার চাকরিকাল হয় এক বছর ছয় মাস ১৪ দিন যা লিয়েন ছুটিতে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক।
এ ক্ষেত্রে লিয়েন ছুটির নীতিমালা অনুযায়ী তার ন্যূনতম চাকরিকাল তিন বছর পূর্ণ করে না। কিন্তু লিয়েন ছুটি অনুমোদনের আগেই মোনাস ইউনিভার্সিটির মোনাস বায়োএথিক্স সেন্টার, স্কুল অন ফিলোসোফিক্যাল হিস্টোরিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (এসওপিএইচআইএ), ফ্যাকাল্টি অব আর্টস বিভাগে টিচিং অ্যাসোসিয়েট হিসেবে যোগদান করেন বলে জানা যায় রেজিস্ট্রার দফতরের এক চিঠিতে। ফলে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ হতে ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ১ বছর ১০ মাস ২ দিন তিনি অননুমোদিতভাবে অস্ট্রেলিয়া অবস্থান করেন। এ সময় তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকাসহ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অস্ট্রেলিয়াতে গমন ও অবস্থান করে, যা সরকারি নির্দেশাবলি অমান্য করেছেন। তার ভোগকৃত শিক্ষা ছুটির সমপরিমাণ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেননি।
অভিযুক্ত শিক্ষক সোচনা শোভার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ বলেন, তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। কেসটি নানা মাত্রিকতায় ভরপুর। সর্বোচ্চ অনুধাবন ও মনোনিবেশ দিয়ে ড. সোচনা শোভার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান বলেন, এই ঘটনা ও অভিযোগগুলো আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগের। বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত করছে। তদন্ত অনুযায়ী প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক সোচনা শোভাকে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি খুদেবার্তার উত্তর মেলেনি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, বিষয়ে তদন্ত কমিটি রয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করছে। তারাই আইন বিশ্লেষণ করবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা