একাধিক মামলার আসামি তবুও থামছে না নাজিম উদ্দিনের দৌরাত্ম্য
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ মার্চ ২০২৪, ০২:২৬
বিভিন্ন থানায় রয়েছে ৩০টি মামলা। রয়েছে অসংখ্য জিডি। তারপরও থামছে না দৌরত্ম্য। এলাকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ নানা অপরাধে হোতা হিসেবে কাজ কারছেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা এলাকার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া। তার গড়ে তোলা বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাসিক ৩ হাজার টাকা বেতনে ভাঙ্গারীর দোকানে চাকরি নেয়া নাজিম উদ্দিন অদৃশ্য শক্তির ছত্রচ্ছায়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। জমি দখলে ব্যবহার করছেন নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে সাইনবোর্ড। তার কর্মকাণ্ড দিনদিন এতই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে যে, সম্প্রতি তার নির্মাণাধীন নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাতে গেলে নাজিমের বাহিনীর তোপের মুখে পড়ে।
এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন হত্যা চেষ্টা মামলায় জেল খেটে এসে অতীতের চেয়ে বেপরোয়া হয়ে গেছেন নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া। জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর ঊর্ধ্বতন আরো কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়ে জোয়ার সাহারা মৌজার ৫৬১, ৫৬২ ও ৫৬৩ নম্বর দাগের কয়েক বিঘা জলাশয় জমি ক্রয় করেন। নিজেদের টাকায় মাটি কিনে জমিতে ফেলে ভরাট করেন। ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েও বারবার নাজিম বাহিনীর হাতে নির্মম অত্যাচারের শিকার হন তিনি। প্রায় ১৫-২০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তার জমি নাজিম উদ্দিন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। জমির কাছে গেলেই লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, ২০২১ সালে বৃদ্ধ বোরহান উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকার জানান। এরপর নাজিম বাহিনী তাকে আক্রমণ করে ও তার জমি দখল করে নেয়। এলাকাবাসী আরো জানায়, নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামক ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নাজিম উদ্দিন ভূইয়া তার চার ভাইকে নিয়ে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই সন্ত্রাসী দলে ব্যবহার করা হচ্ছে এলাকার কিছু কিশোর বয়সী ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়াকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তার একটি জমির শেয়ার মালিক ও ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণকাজ শুরু করলেও জমির আসল মালিকরা আদালতে দেওয়ানি মামলা করলে আদালত নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা দেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণকাজ চালিয়ে যান। পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অভিযান চালায় রাজউক। এ সময় অভিযানে আসা রাজউকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিমের তোপের মুখে পড়েন। ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রশাসনের কর্মকাণ্ডকে অবৈধ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকিও দেন নামিজ উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ ও ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মারওয়া টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করিয়ে নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন। এ ব্যাপারে জানতে নাজিম উদ্দিনের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা