২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গাজীপুরে সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে স্কুলশিক্ষিকা খুন

-

গাজীপুরে সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এক স্কুলশিক্ষিকাকে খুন করেছে তার ভাই ও ভাতিজারা। ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের প্রায় চার বছর পর রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত নিহতের এক ভাতিজাকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহতের নাম- মমতাজ বেগম (৫৫)। তিনি রাজধানীর তেজগাঁও (পূর্ব নাখালপাড়া) এলাকার আওরঙ্গজেব খান দুলুর স্ত্রী এবং নাখালপাড়া হলি মডেল কিন্ডারগার্টেন ইংলিশ বেইজড বাংলা মিডিয়াম স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গ্রেফতারকৃতের নাম- উচ্ছাস সরকার (৩০)। সে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন বাঘিয়া এলাকার দুলাল সরকারের ছেলে এবং নিহত শিক্ষিকার ভাতিজা। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জানান, ২০১৯ সালের ১ মার্চ বিকেলে ভাই আবদুর রশিদ সরকারের বাড়ি গাজীপুরের বাঘিয়া এলাকার উদ্দেশে ঢাকার বাসা থেকে বের হন স্কুলশিক্ষিকা মমতাজ বেগম। পরদিন তার লাশ স্থানীয় বাঘিয়া (ডিস পুকুর পাড়) শফিউল্লাহর পরিত্যক্ত বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভেতরে পড়ে থাকতে দেখেন চাচাতো বোন আম্বিয়া। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ক্লুলেস এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে কোনাবাড়ী থানায় মামলা করেন নিহতের বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মৌ। মামলা দায়েরের ২৩ দিন পর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পিবিআই গাজীপুরকে দেয়া হয়। প্রায় চার বছর তদন্তের পর শিক্ষিকা মমতাজ বেগম হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত নিহতের ভাতিজা উচ্ছাস সরকারকে গত সোমবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা। গ্রেফতারকৃত উচ্ছাস এ হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার সাথে নিজেদের জড়িয়ে গাজীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। শিক্ষিকা মমতাজ বেগমের সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।
তিনি আরো জানান, ২০১৯ সালের ১ মার্চ সন্ধ্যায় স্কুলশিক্ষিকা মমতাজ বেগম তার সহোদর ভাই আবদুর রশিদ সরকারের বাসায় আসেন। রাতেই তার সাথে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেন তার ভাই আবদুর রশিদ ও পরিবারের সদস্যরা। আলোচনার একপর্যায়ে শিক্ষিকার ভাই আবদুর রশিদ ভিকটিমকে টাকা না দিয়ে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ দেয় এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এ সময় আবদুর রশিদের ছেলে নিলয় সরকার উপস্থিত সবার সামনে ভিকটিমকে গলা চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে পাশের মণ্ডল বাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতে শিক্ষিকা মমতাজ বেগমের লাশ ওই বাড়িগামী রাস্তাসংলগ্ন পরিত্যক্ত বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ফেলে আসে নিহতের ভাই আবদুর রশিদ সরকার, ভাতিজা উচ্ছাস সরকার ও নিলয় সরকারসহ তাদের সহযোগীরা। আবদুর রশিদ সরকার ও তার পরিবারের সদস্যরা পাশের মণ্ডল বাড়ির সাধু হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি বলে জানিয়েছে গ্রেফতারকৃত উচ্ছাস সরকার।


আরো সংবাদ



premium cement
ঝালকাঠিতে নারীর লাশ উদ্ধার ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সারা দেশ থেকে শাহবাগে লোক জড়ো করার চেষ্টা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় ডিএমপিতে ১,৮৪২ মামলা বন্দরে অহিংস গণঅভ্যুত্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে বাস আটক যাত্রাবাড়ীতে সংঘর্ষে ৩ শিক্ষার্থী নিহতের দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের রাস্তায় নয়, ন্যায্য দাবি নিয়ে আমার কাছে এসো : শিক্ষা উপদেষ্টা ৪০ বছর পর শ্মশানের জমি বুঝে পেল হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ : যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় বিজিবি মোতায়েন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলাকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালু

সকল