২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
আইপিএবির সেমিনারে অভিমত

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীতে সরকার রাজস্ব হারাবে

-

ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইপিএবি) এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীতে যেসব বিতর্কিত প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে তাতে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হুমকির মুখে পড়বে। বক্তারা বলেন, স্বার্থান্বেষী বিদেশী দাতা সংস্থার এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদের প্রদেয় শতকোটি টাকা অর্থায়নে পরিচালিত দেশীয় এনজিওগুলো জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে তাদের স্বীয় উদ্দেশ্যগুলো অর্জনের জন্যই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের (দ্বিতীয় সংশোধন) খসড়া তৈরি করেছে যা আমাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে, তামাক শিল্প থেকে সরকারের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা টেকসই রাজস্ব আয়কেই ধ্বংস করবে। পাশাপাশি সিগারেট উৎপাদনের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য শিল্পকেও ধ্বংস করবে। তামাক পাতা, সিগারেট এবং তদুপরি বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিকোটিন নির্যাস রফতানির নতুন সুযোগ হারাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়কে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধাগ্রস্ত করবে।
বিদ্যমান আইন ১০০ শতাংশ বাস্তবায়ন না করে নতুন সংশোধনীর প্রস্তাবনাগুলো অযৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত না। যাদের জন্য আইনটি বর্ণিত করা হচ্ছে (উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান, ক্রেতা-খুচরা বিক্রেতা) সংশ্লিষ্ট অংশীজন বা স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা না করে খসড়া তৈরি করা হয়েছে যে কারণে সবার মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা হারাবে এবং এর ফলে আইন করলেও, তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।
অবাস্তব প্রস্তাবনাগুলো এই খাতের সাথে জড়িত সব অংশীজনদের বিপাকে ফেলবে। (যেমন : সরকার রাজস্ব হারাবে, চাষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এবং তাদের পরিবার আর্থিকভাবে অনিশ্চয়তার দিকে ঝুঁকে পড়বে, এই বিশাল সাপ্লাই চেইনের সাথে জড়িত সব অংশীজন ও তাদের জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে)
বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় যুগোপযোগী এবং বাস্তবসম্মত, বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, ২০১০ সালে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৪৪ শতাংশ ছিল। ২০১৩ সালের দূরদর্শী সংশোধনীর মাধ্যমে ২০২২ সালে এসে সরকার এই সংখ্যা সাফল্যের সাথে ৩৪ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বিদ্যমান আইনটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে এই সংখ্যাটি আরো কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। না হলে, বিগত বছরের তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার হ্রাসে অর্জিত সাফল্য বিফলে যাবে। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement