২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
অনলাইন সেমিনারে নাগরিকসমাজ

জো বাইডেনের সম্মেলনে জলবায়ু বাস্তুচ্যুতদের জন্য বৈশ্বিক উদ্যোগ দাবি

-

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু তাড়িত বাস্তুচ্যুতদের জন্য বিশেষ বৈশ্বিক উদ্যোগের বিষয়টি তুলে ধরতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিকসমাজ। গতকাল সোমবার কোস্ট ফাউন্ডেশন এবং স্থায়িত্বশীল পল্লী জীবন-জীবিকার জন্য প্রচারাভিযান (সিএসআরএল), ক্লিন-বিডি, বিআইপিএনইটি-সিসিবিডি, সিপিআরডি আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সম্মেলন : নাগরিকসমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তারা এই আহ্বান জানান।
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরো বক্তৃতা করেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, বিসিএএসের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান ড. আইনুন নিশাত, ডা: প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব মনজুরুল হান্নান খান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তা, সিপিআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুদ্দোহা, বিপনেট-সিসিবিডির মৃণাল কান্তি ত্রিপুরা, ক্লিন-বিডির হাসান মেহেদি এবং বাংলাদেশ ক্লাইমেট জার্নালিস্ট ফোরামের কাওসার রহমান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে কোস্টের সৈয়দ আমিনুল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার আন্দোলনে বৈশ্বিক নেতৃত্ব নিতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে এ ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে, যেমনÑ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা, সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচিতে অর্থায়ন করতে হবে। মূল প্রবন্ধে কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশও তুলে ধরা হয়।
ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ন্যাশান ফোরাম (সিভিএফের) চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ আসন্ন এই শীর্ষ সম্মেলনে তার জলবায়ু বিপদাপন্নতার বিষয়গুলো তুলে ধরবে। এ ছাড়াও অতিবিপদাপন্ন দেশগুলোর জন্য অর্থায়নের ক্ষেত্রে জিসিএফের দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করে অভিযোজনের জন্য অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তার দাবি জানাতে হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য বড় কার্বন নির্গমনকারীদের জন্য আমাদের ১.৫ ডিগ্রি সীমা বেঁধে দিতে হবে এবং এই লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে পূরণের কর্মসূচি দিতে হবে।
আইনুন নিশাত বলেন, প্যারিস চুক্তির আওতায় বাজার ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ হয়তো লাভবান হবে না। বরং অর্থায়ন এবং জলবায়ু অভিবাসনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে।
জিয়াউল হক মুক্তা বলেন, জলবায়ু বাস্তুচ্যুতদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা চাই। শামসুদ্দোহা এবং কাওসার আহমেদ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সিভিএফকে একটি বিশেষ গ্রুপ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement