বগুড়া বিয়াম মডেল কলেজের দুই প্রভাষক বরখাস্ত
- বগুড়া অফিস
- ৩০ আগস্ট ২০২০, ০১:৫৭
বিয়াম ফাউন্ডেশন পরিচালিত বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের দুই প্রভাষককে প্রাক্তন ছাত্রীদের হয়রানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। বরখাস্তকৃতরা হলেনÑ ওই কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবদুল মোত্তালিব। এ তথ্য নিশ্চিত করে কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাসুম আলী বেগ। কমিটির দুই সদস্য হলেনÑ বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ও কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান। গত শুক্রবার রাতে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে কলেজের গভর্নিং বডির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বলা হয়, শিক্ষক কর্তৃক প্রাক্তন ছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের হয়রানির সংবাদ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার এবং সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় অত্র প্রতিষ্ঠানের অভিযুক্ত দুইজন প্রভাষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত বাংলা বিভাগের প্রভাষক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, এটা নিয়ে ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিল। ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। অপর দিকে ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবদুল মোত্তালিব এ প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, তার ফেসবুক আইডি বারবার হ্যাকড হচ্ছে।
নির্যাতনের শিকার এক ছাত্রী বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বগুড়ার তৎকালীন জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমেদের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেছে, প্রভাষক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ গত ২০ জানুয়ারি তাকে হাত ধরে টানাহেঁচড়া করেন। তাকে নিজের কক্ষে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেন। এ ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি সাবেক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। এই প্রভাষকের বিরুদ্ধে এর আগেও এক ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল; কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের সম্মানের অজুহাতে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।
গত বুধবার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবদুল মোত্তালিবের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ করেন সাবেক এক ছাত্রী। শিক্ষক মোত্তালিব পোস্ট তুলে নিতে ওই ছাত্রীকে ফোনে হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রভাষক আবদুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে সাবেক এক ছাত্রী লিখিতভাবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছিল; কিন্তু ছাত্রীর পরিবার সমঝোতা করেছে। তদন্তে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিললে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিয়াম ফাউন্ডেশন বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক (উপ-সচিব) আব্দুর রফিক বলেন, এ ধরনের ঘটনার সাথে যে কেউ জড়িত হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিয়াম ফাউন্ডেশনের কড়া বার্তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা