২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দরপত্র ছাড়াই কাগজ বিক্রির অভিযোগ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিরুদ্ধে

-

দরপত্র ছাড়াই কাগজ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের বিরুদ্ধে। এর আগে দরপত্রে অংশ নিয়ে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ১৪০ টন পরিত্যক্ত খাতা পেয়েছিল ‘সুফিয়া এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি আর দরপত্রে দেয়া দামে কাগজ নিতে পারেনি। নিয়মানুযায়ী, আবারো দরপত্র আহ্বান করে কাগজ বিক্রির কথা। কিন্তু দরপত্র ছাড়াই অন্য কোম্পানিকে কাগজ দেয়া হয়েছে।
সুফিয়া এন্টারপ্রাইজের পক্ষে যারা কাগজ পেয়েছিলেন তারা হলেনÑ মিরাজ, শাফি, আবদুল খালেক ও পাভেল। তারা জানান, গত আট মাস আগে তারা পরিত্যক্ত নম্বরপত্র, প্রশ্নপত্র ও খাতা দরপত্রে অংশ নিয়েই সর্বোচ্চ দামে কেনেন। জমা দেন এক লাখ টাকা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তারা কাগজ নিয়ে যেতে পারেননি। করোনাকালে দাম কমে যাওয়ায় তারা লোকসানের আশঙ্কায় পড়েন। তাই পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে কাগজ বিক্রির জন্য তারা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। কিন্তু এবার দরপত্র ছাড়াই গত বৃহস্পতিবার কাগজগুলো বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, কর্ণফুলী নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে মাত্র সাড়ে ১৪ টাকা দরে সব ধরনের কাগজ নিয়ে গেছে। অথচ সুফিয়া এন্টারপ্রাইজ নম্বরপত্র ৩৬ দশমিক ৬৩ টাকা, প্রশ্নপত্র ১৮ দশমিক ৬৩ টাকা এবং খাতা ২৮ দশমিক ৬৩ টাকা দর দিয়েছিল। বোর্ডে ১০০ টন নম্বরপত্র ও ৪০ টন খাতা ছিল।
দরপত্র ছাড়াই কাগজ বিক্রির বিষয়ে শিক্ষাবোর্ডের সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, কাগজ বিক্রি করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিলো। কিন্তু কাজ পাওয়া ব্যক্তিরা দীর্ঘ আট মাস যাবৎ গুদাম থেকে কাগজ নিয়ে যাননি। বারবার চিঠি দিলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। তারা লোকসানে পড়লে নতুন কোনো দামও বলেননি। যেহেতু করোনা পরিস্থিতির কারণে কাগজের বাজার কমে গেছে তাই একটু কম দামেই এবার বিক্রি করা হয়েছে। আর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আরেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে কোনো কিছু বিক্রি করতে গেলে দরপত্র না আহ্বান করলেও চলে।


আরো সংবাদ



premium cement