করোনা আতঙ্কে ২৯ জেলায় প্রাথমিকের শিক্ষক প্রশিক্ষণ স্থগিত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ মার্চ ২০২০, ০০:১১
মামলা-জটিলতা কাটিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হলেও করোনা আতঙ্কে ২৯ জেলার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ স্থগিত করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্র জানিয়েছে, আদালতের মামলা-জটিলতা নিরসন হওয়ায় দেশের ৬১ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। একই সাথে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের যোগদান ও পদায়ন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে সর্বশেষ নিয়োগ পাওয়া ২৯ জেলার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ স্থগিত রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা থেকে জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশনে স্থগিতাদেশ বাতিল করায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩২ জেলায় সহকারী শিক্ষক যোগদান, পদায়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করা হয়। আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় বাকি ২৯ জেলায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত থাকে। এরপর ১ মার্চে পাঁচ জেলায়, ৫ মার্চ ১০ জেলায়, ৮ মার্চ ঢাকাসহ পাঁচ জেলায়, ৯ মার্চ পাঁচ জেলায় এবং ১২ মার্চ চারটি জেলার স্থগিতাদেশ বাতিল করা হয়। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে নির্দেশনা জারি করে এসব জেলায় নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো: আকরাম আল হোসেন জানান, আদালতের স্থগিতাদেশ বাতিল করতে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। এতে করে পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলার নিয়োগের স্থাগিতাদেশ আদালত থেকে বাতিল করা হলে সব জেলায় শিক্ষক নিয়োগ ও পদায়ন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বশেষ গাইবান্ধা, মানিকগঞ্জ, পিরোজপুর, পঞ্চগড় ও নরসিংদী জেলায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত ছিল। গত ১২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশনে স্থগিতাদেশ বাতিল হওয়ায় সর্বশেষ এই পাঁচ জেলায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে ২৬ ডিসেম্বরের পরে যেসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের যোগদান-পদায়ন শেষ করা হলেও দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তারের আশঙ্কা থাকায় তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। গত বছর সারা দেশে প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারা দেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। সবশেষে গত ২৪ ডিসেম্বর এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে ফলাফল প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা