০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

এ শহরকে ডাস্টবিন মনে করে অনেকে : আতিকুল

বনানীতে বিডি ক্লিনের প্লাস্টিক বোতল পুনর্ব্যবহারের ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী : নয়া দিগন্ত -

বিজয়ের এই মাসে সবাইকে সুনাগরিক হওয়ার শপথ করার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা কতটা নির্লজ্জ হলে দামি দামি গাড়ি থেকে নেমেই ময়লাটা নিচে ফেলি। বিদেশে গেলে আমরা ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলি কিন্তু দেশে আমরা যত্রতত্র ময়লা ফেলে দেশকে অপরিচ্ছন্ন করি। যে দেশে ৩০ লাখ শহীদ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, যে মাটিতে মুক্তিযুদ্ধের শহীদরা ঘুমিয়ে আছেন, সেই মাটিতে ময়লা ফেলা নির্লজ্জ জাতি বলেই সম্ভব। মেয়র আরো বলেন, যারা দামি দামি গাড়িতে চড়ি তারাই আবার গাড়ির গ্লাস খুলে রাস্তায় বোতল, টিস্যু, প্যাকেট, পলিথিন ফেলে। এরা শহরকে ডাস্টবিন মনে করে। আর এর মাশুল দিতে হয় গোটা নগরবাসীকে। আমরা সবাই তাদেরকে ধিক্কার জানাই।
গতকাল মহাখালীর বিটিসিএল (টিঅ্যান্ডটি মাঠে) ওয়ারলেস রোডে বিডি ক্লিনের আয়োজনে প্লাস্টিক বর্জ্য বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিজয়ের মাসে সারা দেশ থেকে কুড়িয়ে আনা ৩০ লাখ পরিত্যক্ত বোতল নিয়ে ভিন্নধর্মী প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিডি ক্লিনের প্রধান সমন্বয়ক ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আব্দুল হাই, ডিএনসিসির কাউন্সিলর মো: নাছির, দেওয়ান মান্নান প্রমুখ।
প্লাস্টিক বর্জ্যরে ভয়াবহতা তুলে ধরে মেয়র বলেন, একটি প্লাস্টিক বোতল ডিকম্পজ হতে প্রায় ৪৫০ বছর লাগে। এখন সমগ্র পৃথিবীতে প্রায় ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য আছে, যার মাত্র ১০ শতাংশ পুনঃব্যবহারযোগ্য। তাহলে বাকি প্লাস্টিকের কী হবে? তিনি বলেন গবেষকরা বলছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ সাগরে মাছের থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য বেশি হবে। ঢাকা শহরে প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয় যা ২০২১ সালে পাঁচ হাজার টনে উন্নীত হবে। তাই এখনই সময় আসুন আমরা সচেতন হয়ে সবাই মিলে সবার ঢাকা গড়ে তুলি। নিজেকে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। একজন সুনাগরিকের গুণাবলি আমাদের জানতে হবে। মেয়র বলেন, সবাই যার যার এলাকা, জলাধার, মাঠ, বাসা বাড়ি নিজে পরিষ্কার করলে এই শহর এমন থাকবে না। বিডি ক্লিনের একজন চলাচল প্রতিবন্ধী সদস্য মাহফুজকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে মেয়র বলেন, এই মাহফুজ যদি দেশ পরিষ্কারে অংশ নিতে পারে তবে আমরা কেন পারব না? আমরা নোংরা করব আর মাহফুজ পরিষ্কার করবে, আমাদের জন্য এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে? তারপরও আমি বলতে চাই এই মাহফুজরাই যথেষ্ট দেশ পরিষ্কারের জন্য, ওদের হাতেই বদলে যাবে আমাদের সোনার বাংলাদেশ।


আরো সংবাদ



premium cement