ভোলার ঘটনায় দায় এড়াতে পারেন না এসপি-ওসি মাওলানা মামুনুল হক
- ফরিদপুর সংবাদদাতা
- ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ভোলার বোরহানউদ্দিনে নবী সা:কে অবমাননার ঘটনায় সেখানকার মুসলমানদের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সেই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে শান্তির পয়গাম ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই তৌহিদি জনতার সমাবেশ ডাকা হয়েছিল। অথচ বেলা ১১টায় সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশ সকাল ৯টায় সমাবেশ শুরু করে ১০টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করে দিতে বলে। এতে সেখানকার তৌহিদি জনতার কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে। তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে চারজন নবীপ্রেমিককে শহীদ করা হয়। এ ঘটনায় সেখানকার এসপি ও ওসি দায় এড়াতে পারেন না। তাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত।
গত শুক্রবার রাতে খেলাফত যুব মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শহরের ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি মহানবী সা:কে অবমাননার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আইন পাস করার জোর দাবি জানান।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, তৌহিদি জনতার সমাবেশ ভণ্ডুল করতে একজন পুলিশ কর্মকর্তার খামখেয়ালি অপতৎপরতার কারণেই চারজন নবীপ্রেমী শহীদ হয়েছেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশেই সাধারণ মুসল্লিদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, কারা সে দিন পরিস্থিতি উত্তপ্ত করল তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে হবে।
যুব মজলিসের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি ইমদাদ বিন ছায়েনুদ্দীনের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য দেন যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় বায়তুল মাল ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহুরুল ইসলাম, পুরুরা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জহুরুল হক, সামসুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ প্রমুখ।
এ সময় মামুনুল হক বিপ্লব চন্দ্রের ফেসবুক আইডি হ্যাক করা নিয়ে সেখানকার মুসলমানদের বিরুদ্ধে জঘন্য অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ এনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী গণভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বললেন মুসলমান ছেলেরা বিপ্লব চন্দ্রের ফেসবুক আইডি হ্যাক করেছিল। অথচ তারপর তিন দিন আগে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে স্বীকার করলেন, বিপ্লব চন্দ্রের আইডি হ্যাককারীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ফেসবুক আইডি হ্যাকের এই অভিযোগ মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরেকটি জঘন্য অপপ্রচার উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৌহিদি জনতা কখনো উচ্ছৃঙ্খল ছিল না। আলেমরা কখনো উচ্ছৃঙ্খল জনতার নেতৃত্ব দেয় না।
তিনি ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের নির্বাচনের সমালোচনা করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যদি নির্বাচন ভালো না লাগে তাহলে আইন পাস করে নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করে দিন। তিনি বলেন, আজ এই বাংলার জমিনে যেখানে শতকরা নব্বই ভাগ মুসলমান সেখানে একের পর এক নবীর বিরুদ্ধে কটূক্তি করা হচ্ছে; যেই ধরনের অশ্লীল বাক্যবাণে জর্জরিত করা হচ্ছে সেটি শুধু ইসলামের আবমাননাই নয়; বিশ্ব মানবতার বিরুদ্ধেও জঘন্য অপরাধ। প্রিয় নবী সা:কে নিয়ে যারাই কটূক্তি করবে, নবীজীর শানে অবমাননা করবে আইন করে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিধান করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা