০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১, ১ শাবান ১৪৪৬
`

রোহিঙ্গা ত্রাণকার্যক্রমের পরিচালন ব্যয় নিয়ে সুশীল সমাজ সংগঠনের উদ্বেগ

-

রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় পরিচালিত ত্রাণ কর্মসূচির পরিচালন ব্যয় এবং প্রাপ্ত তহবিলের স্বচ্ছতা নিয়ে সুশীল সমাজ সংগঠনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা কক্সবাজারের অর্থনীতি এবং পরিবেশের পুনর্বাসনের জন্য আলাদা উন্নয়ন পকিল্পনার সুপারিশ করেন।
সিরডাপ মিলনায়তনে কোস্ট ট্রাস্ট আয়োজিত ইেন্টিগ্রেশন অব গ্রান্ড বারগেন কমিটমেন্টস অ্যান্ড লোকালাইজেশন : এইড ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড সলিডারিটি অ্যাপ্রোচ শীর্ষক আলোচনায় তারা এ কথা বলেন। গতকাল অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই সভায় রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় গৃহীতব্য জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) ২০১৯-এ কক্সবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি এবং পরিবেশের উন্নয়নে মানবিক এবং উন্নয়ন কর্মসূচির পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। আলোচনা সভায় বাংলাদেশে স্থানীয়করণের ওপর একটি সমীক্ষার ফলাফলও তুলে ধরা হয়।
সরকারের সাবেক মুখ্য সচিব এবং পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আবদুস সালাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসঙ্ঘ উইংয়ের মহাপরিচালক নাহিদা সোবহান, জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কাারী মিয়া সাপো, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশ প্রধান জর্জ জিওগারি, ইউএনএইচসিআর-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি পাপা কাইসমা সিলা, অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি এবং গ্লোবাল লোকালাইজেশন ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য অনিতা কাট্টাখুজি, কক্সবাজার সিএসও অ্যান্ড এনজিও ফোরাম কো- চেয়ার আবু মুর্শেদ চৌধুরী, এডাবের পরিচালক জসিম উদ্দীন, ডিজাস্টার ফোরামের গওহর নঈম ওয়ারা এবং কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম মুশা। কোস্ট ট্রাস্টের রোজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অলোচনা সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একই সংস্থার মো: মজিবুল হক মনির।
মুজিবুল হক মনির বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় জাতিসঙ্ঘ অঙ্গসংস্থাগুলো এই পর্যন্ত যে ৬৮২ মিলিয়ন ডলার তহবিল পেয়েছে, তাতে প্রতিটি রোহিঙ্গার জন্য মাথাপিছু প্রায় ৫৭ হাজার টাকা এসেছে। এই তহবিলের কত অংশ রোহিঙ্গাদের জন্য আর কত অংশ সংস্থাগুলোর প্রধান কার্যালয় বা মাঠপর্যায়ে তাদের পরিচালন ব্যয় বাবদ খরচ হয়েছে এই বিষয়েও তথ্য প্রকাশ করা উচিত। আন্তর্জাতিক এনজিও এবং জাতিসঙ্ঘ অঙ্গসংস্থাগুলো তাদের পরিচালন ব্যয় কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার মানে হলো তারা সরাসরি প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে স্থানীয় অংশীদারদের দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
নাহিদা সোবহান বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য টেকসই, নিরাপদ এবং স্বেচ্ছাপ্রত্যাবাসন। এই মানবিক সঙ্কটে বৃহত্তর সমন্বয় খুব প্রয়োজন। স্থানীয় এনজিওদের এই সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ করতে হবে।
মিয়া সাপ্পো বলেন, অংশীদারিত্বই আমাদের প্রয়াসে সাফল্য আনতে পারে।
পাপা কাইসমা সিলা বলেন, কক্সবাজারের জনগণের ওপর থেকে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা কমিয়ে আনা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আবদুস সালাম বলেন, প্রত্যাবাসন বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাজ করা উচিত নয়।
অনিতা কাট্টাখুজি বলেন, উন্নয়নের স্থানীয়করণের সুপারিশের জন্য আমাদের অপেক্ষা করলে চলবে না।
আবদুল করিম বলেন, নিরাপদ প্রত্যাবাসনের আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষায় আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।
আবু মুর্শেদ চৌধুরী রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দের মোট শতকরা পঁচিশ ভাগ স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য বরাদ্দ করার জাতিসঙ্ঘের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন। রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার জেলায় পরিবেশ, শিক্ষা ও অর্থনীতির ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার, আইএনজিও এবং জাতিসঙ্ঘকে একটি মানবিক ও উন্নয়নবিষয়ক সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। নঈম গওহর ওয়ারা বলেন, অস্বস্তিকর হলেও আমাদের প্রশ্নটা তুলতে হবে যে দাতা সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের নামে কত টাকা সংগ্রহ করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
বইমেলা উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশে বিধি নিষেধ থাকছে না ইসরাইলি স্পাইওয়্যার প্রতিষ্ঠানের নজরদারিতে ১০০ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী বান্দরবানে গভীর রাতে আ’লীগের ঝটিকা মাশাল মিছিল, পুলিশের অভিযান তাইওয়ানের সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিপসিক ব্যবহার নিষিদ্ধ বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ডাসারে হাত-পা বাঁধা চা বিক্রেতার লাশ উদ্ধার রংপুর মহাসড়কে ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার কবলে ৭ গাড়ি, আহত ৩০ কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর শুল্ক শনিবার থেকেই : হোয়াইট হাউজ সুনামগঞ্জে ১৭ বছর পর স্বাধীনভাবে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত আজ থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সাথে সংঘাতে ৫ দিনে নিহত ৭০০

সকল