ইসলাম কায়েমে ইমাম খতিবদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন বলেছেন, যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন। দ্বীনি আন্দোলন করতে গিয়ে ওলামায়ে কেরাম নবীগণের উত্তরসূরী। তাদের নবী-রাসূলদের সেই গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের মসজিদ মাদরাসাগুলোকে সে আদলে গড়তে হবে। আমাদের বেশি বেশি ইলমে দ্বীন চর্চা করতে হবে। বাংলাদেশে ইসলাম কায়েমের জন্য মসজিদের ইমাম খতিবগণকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আগামী নির্বাচনে কুরআনের পক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ মসজিদ মিশন চট্টগ্রাম মহানগরীর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। তিনি বলেন, মসজিদ হলো ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান। মসজিদের খতিব সাহেবের বক্তব্যে সব শ্রেণী-পেশার মানুষসহ সকল দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শুনে থাকেন। সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে মসজিদে ভূমিকার বিকল্প নেই।
প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, ১৯৭৩ সালের ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ মসজিদ মিশন দেশের কঠিন ক্রান্তিকালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যখন ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের চরম দুর্দিন ছিল। আলেম-ওলামাদের হেয়প্রতিপন্ন করা হতো, সকলের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ মোহছেন আল হোসাইনীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ছলীমুল্লাহ হাবিবী ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন মাহবুবের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সাবেক সভাপতি মাওলানা এ বি এম ছিদ্দিকুল্লাহ, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ ছ ম সলিমুল্লাহ, পতেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ মমতাজুর রহমান, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সাবেক সভাপতি মাওলানা মামুনুর রশীদ নূরী, চট্টগ্রাম কলেজ মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের প্রফেসর ড. বি এম মফিজুর রহমান।