সাবেক প্রতিমন্ত্রী রাসেল ও এমপি শাহে আলমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং গাজীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল এবং বরিশালের সাবেক সংসদ সদস্য মো: শাহে আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্যদিকে জাহিদ আহসান রাসেলের স্ত্রী মিসেস তাহেরা খাদিজার সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
গতকাল রবিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো: আক্তার হোসেন।
ব্রিফিংয়ে দুদক কর্মকর্তা জানান, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং গাজীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো: জাহিদ আহসান রাসেলের নামে ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৫ হাজার ৭৭০ টাকার মূল্যের সম্পদ পাওয়া যায়। এর মধ্যে তিন কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫০ টাকার কোনো গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি, যা তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন। এ ছাড়া জাহিদ আহসান রাসেল পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ৬৫ হাজার ৮২৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেন। তিনি জানান এসব অপরাধে জাহিদ আহসান রাসেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সম্পদ বিবরণীর নোটিশ অন্যদিকে জাহিদ আহসান রাসেলের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার স্ত্রী মিসেস তাহেরা খাদিজা বৈধ আয়ের চেয়ে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৫২২ টাকার সম্পদ বেশি পাওয়া যায়। যার কোনো গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি। তার সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বরিশালের সাবেক এমপি শাহে আলমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এ দিকে বরিশাল-২ আসনের (উজিরপুর-বানারীপাড়া) সাবেক সংসদ সদস্য মো: শাহে আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্য দিকে তার স্ত্রী আতিয়া আলম মিলির সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুদক। দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: আকতারুল ইসলাম জানান, সাবেক সংসদ সদস্য মো: শাহে আলম তালুকদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক কোটি ৭৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তিনি নিজ নামের ১২টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭৭২ টাকার অবৈধ অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের জন্য সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। যে কারণে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্য দিকে আতিয়া আলম মিলি স্বামী শাহে আলম তালুকদারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে। তার নামে আরো সম্পদ রয়েছে কি না এবং সম্পদের উৎসগুলোর সঠিকতা যাচাই করার জন্য তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা