২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬
`

সিলেট এমসি কলেজে আহত শিক্ষার্থী তৃতীয় পক্ষের চক্রান্তের ফাঁদে : মিশ্র প্রতিক্রিয়া

-

ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে মারামারিতে দুই ছাত্র আহতের ঘটনায় থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তৃতীয় পরে অর্থাৎ একটি বড় ছাত্রসংগঠনের কিছু নেতাদের প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রের ফাঁদে আটকে পড়েছেন সেদিন আহত তালামিয কর্মী মিজানুর রহমান রিয়াদ। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার বাসায় চলে যান তিনি। এরপর সন্ধ্যায় ফের হাসপাতালে ভর্তি হন। এরই মধ্যে সাবেক এক ছাত্রনেতা মেডিক্যালের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার বিষয়টি সামনে আসায় ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালের ভেতরে বাইরে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এর মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষ একটি ছাত্রসংগঠনের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি ক্রমেই প্রকাশিত হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের সময় ডা: আল মামুন গাইনি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত থাকাবস্থায় হঠাৎ নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে ডিউটিরত দুইজন ইন্টার্ন মহিলা ডাক্তারকে ধমক দিয়ে রোগীর প্রেসক্রিপশন পরিবর্তন করে নিজে ভিন্ন ওষুধ লিখে যান। ফলে হাসপাতালের চিকিৎসকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ডা: আল মামুন ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী, তার ইন্ধনে আহত ওই তালামিয কর্মীর চিকিৎসায় ধীরগতি দেখা দেয়ার পাশাপাশি ভুল চিকিৎসায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক ও এমসি কলেজের শিক্ষার্থীরা। তালামিয কর্মী মিজানুর রহমান ওসমানী মেডিক্যালের (চ০-০৫) বেডে চিকিৎসাধীন।

এ দিকে এমসি কলেজের অধ্য আবুল আনাম মো: রিয়াজ বলেছেন, ফজরের নামাজ শেষে ফেসবুকে ঢুকার পর তিনি ছাত্রাবাসের বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি সাথে সাথে হোস্টেল সুপার মো: মুসলিম উদ্দিন খাঁনকে ফোন দিলে তিনি উত্তরে জানান, এমন কিছু তিনিও শুনতে পাননি। পরে অধ্যক্ষ সকাল ৯ ঘটিকায় অন্যান্য শিক্ষক নিয়ে ছাত্রাবাসে যান। তিনি প্রথমে রুমমেটের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে জানায় ফেসবুকের স্টেস্টাসের কারণে অন্য রুমের কয়েকজনের এসে জিজ্ঞেস করলে উভয় উত্তেজিত হয়ে তর্ক-বির্তকের জড়িয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এতে সে পায়ে আঘাত পায়।
পরে কলেজ অধ্যক্ষ ওসমানী হাসপাতালে যাওয়ার পর তিনি দেখতে পান তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে রিলিজ দিয়ে দিচ্ছে। তখন দায়িত্বরত ডাক্তাররা জানান, তার গুরুতর তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
এ দিকে তালামিয নেতা মিজানুর রহমানের ওপর শিবির হামলা করেছে এবং পায়ের রগ কেটে দিয়েছে এমন অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কথা হয় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা: সৌমিত্র চক্রবর্তী সাথে। তিনি বলেন, আহত দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের একজন মিজানুর রহমান রিয়াদ ও অন্যজন জাহিদুল ইসলাম হৃদয়। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়।

ডা: সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, হৃদয়ের হাত কিছুটা ফুলে গিয়েছিল, তবে এক্সরেতে কোনো ভাঙা ধরা পড়েনি। আর রিয়াদ সামান্য আহত হয়েছিল। পায়ের রগ কাটার মতো কোনো চিহ্ন চিকিৎসকরা পাননি।
জানা গেছে, মিজানুর রহমান এমসি কলেজ তালামিযের সহ-তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
এ ব্যাপারে এমসি কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইসমাঈল খান বলেন, এ ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নন। ছাত্রশিবিরের জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে তৃতীয় একটি পক্ষ কলকাঠি নাড়াচ্ছে। মূলত কলেজ ছাত্রাবাসে মিজানুর রহমান নামের ওই শিক্ষার্থী ও একই কলেজের জাকিরুল ইসলাম নামের অন্য একজন শিক্ষার্থী নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছেন। এতে দুইজনই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই সিলেট মহানগর ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: সৌমিত্র চক্রবর্তী নয়া দিগন্তকে বলেন, এমসি কলেজে আহত শিক্ষার্থী রিয়াদ বৃহস্পতিবার ইমার্জেন্সি থেকে না বলেই চলে যান। ফের ভর্তির তথ্য আমার জানা নেই। এ ছাড়া মেডিক্যালের অন্য ওয়ার্ডের চিকিৎসক কর্তৃক তাকে চিকিৎসা দেয়ার এখতিয়ার নেই। আমি বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement
২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা কুষ্টিয়ার-দৌলতপুরে চরাঞ্চলের সাইফ বাহিনীর প্রধান আটক শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন ওবায়দুর রহমান কোনো চাপ বা কারো নির্দেশনায় কাজ করবে না নির্বাচন কমিশন : ইসি ফুলবাড়ীতে পিকনিকের বাস উল্টে আহত ১৬ পবিপ্রবিতে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২ দাউদকান্দিতে স্কুলশিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ নেত্রকোনায় ফিরছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান চট্টগ্রামে পঞ্চম বিয়ে করায় চতুর্থ স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন! নাইজেরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪

সকল