সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার আহ্বান বিজিবির
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৪
সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য বিএসএফের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ে চার দিনব্যাপী (১৭-২০ ফেব্রুয়ারি) ৫৫তম সীমান্ত সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সম্মেলনে বিজিবি ডিজি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ও বিএসএফ ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
সম্মেলনে বিজিবি প্রধান সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি জোর আহ্বান জানান। সম্মেলনে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে যেকোনো স্থায়ী স্থাপনা এবং কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পরিদর্শকদলের পরিদর্শন ও যৌথ আলোচনার দলিলের ওপর নির্ভর করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ ছাড়া আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তের শূন্য রেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিজিবি প্রধান বিএসএফ মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেই সাথে সীমান্তবর্তী নদীর ভাঙন রোধে তীরবর্তী বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারকাজ এবং পূর্বাভাস না দিয়ে বাংলাদেশের উজানে বাঁধ খুলে পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে সৃষ্ট অনাকাক্সিক্ষত বন্যার ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে বিএসএফকে অনুরোধ জানানো হয়।
সম্মেলনে ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদক ও অস্ত্র পাচার, স্বর্ণসহ অন্যান্য দ্র্রব্যের চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রোধ এবং সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মতো অপরাধ দমনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেয়া হয়।
এ সময় সীমান্তে শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিজিবি মহাপরিচালক।
অপর দিকে মানুষের জীবন ও মানবাধিকার চেতনার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে সীমান্তে হত্যা নিরসনে বিএসএফ কর্তৃক ‘অ-প্রাণঘাতী’ নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন বিএসএফ মহাপরিচালক। তিনি মাদক পাচার ও চোরাচালান রোধসহ সীমান্তে শান্তির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে এমন যেকোনো ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।