বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আত্মপ্রকাশ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির চার নেতৃত্বের তালিকা প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের এম জে এইচ মঞ্জু এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আতিক শাহরিয়ারকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
গত বুধবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য রাশিদুল ইসলাম রিফাত।
তিনি বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সদস্যসচিব নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আতিক শাহরিয়ার, মুখ্য সংগঠক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, উত্তরার ওমর ফারুক এবং মুখপাত্র হয়েছেন ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবিনা। শিগগির পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশের ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক এম জে এইচ মঞ্জু বলেন, ৬৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘কমিশনের’ মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ কমিটি করতে সবার মতামত নিতে এ কমিশন করা হয়।
কমিটির চার শীর্ষনেতাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য রিফাত রশীদ বলেন, দেশের গণমানুষের আকাক্সক্ষা ও জুলাইয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন শহীদসহ আনুমানিক দুই হাজারের অধিক শহীদ ও অর্ধলক্ষ আহতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন দলের সাথে এ প্ল্যাটফর্মের সম্পর্ক কেমন হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রিফাত রশিদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক পরিসর তৈরি করার উদ্দেশ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কাজ করে যাচ্ছে। এ প্ল্যাটফর্ম এ কাজ অব্যাহত রাখবে। নতুন ছাত্রসংগঠন সেই নতুন রাজনৈতিক পরিসর সৃষ্টির একটি অংশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাঈম আবেদিন বলেন, যখন সব স্থানে পুলিশ রথ্যাব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করছিল তখন রামপুরা-বাড্ডা উত্তরাঞ্চল এবং সিলেট ও চট্টগ্রামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ছিল। মধ্যবিত্ত শ্রেণী এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে শেখ হাসিনা রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল এখন তারা কথা বলতে শিখেছে।
প্ল্যাটফর্মটির কেন্দ্রীয় সদস্য জাহিদ আহসান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু আমাদেরকে জুলাইয়েই সহযোগিতা করেনি তারা এর আগেও সহযোগিতা করেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা এই আন্দোলনে শুরু হয়নি তারা এর আগেও আমাদেরকে রাজনৈতিক সহযোগিতা করেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী পেয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম হলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীদেরকে রাজনীতিতে ধরে রাখতে হবে। তাদেরকে রাজনীতিতে যুক্ত করা আমাদের সবচেয়ে বড় একটি দায়িত্ব।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাঈম আবেদিন বলেন, আজকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি শাখার বিভিন্ন পদে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমি তাদেরকে নিয়ে অনেক আশাবাদী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা