পতিত সরকার ও বিএসইসি সুকুকের অপব্যবহার করেছে
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০, আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৪৯
বিশ্বজুড়ে সুকুক বন্ড খুবই জনপ্রিয় এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কার্যকর পণ্য। বাংলাদেশে এই বন্ড চালু হলেও বিগত সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিয়ে সুকুকের অপব্যবহার করেছে। দেশের শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন প্রাণবন্ত পুঁজিবাজার। আর পুঁজিবাজারকে প্রাণবন্ত করতে বন্ড মার্কেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ভালো কোম্পানিগুলোর সুকুক বন্ড আনা প্রয়োজন। এটা করা হলে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে বিশেষজ্ঞ বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেন, সারা বিশ্বে সুকুক বন্ড খুবই জনপ্রিয় এবং বাজারের জন্য ইফেক্টিভ প্রোডাক্ট। তবে বিগত রেগুলেটর এবং সরকার অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়ায় সুকুকের অপব্যবহার হয়েছে।
রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) মিলনায়তনে (মাল্টিপারপাস হল) গতকাল ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বিআইসিএম যৌথভাবে আয়োজিত আন্ডারস্ট্যান্ডিং বন্ড অ্যান্ড সুকুক মার্কেট শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় এসব কথা বলেন তারা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিআইসিএম’র ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নাজমুস সালেহীন, সিএমজেএফ’র সভাপতি গোলাম সামদানী ভুঁইয়া, সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। সঞ্চালনা করেন বিআইসিএম’র প্রভাষক ফাইমা আক্তার। প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন বিআইসিএম এর সহকারী অধ্যাপক এস এম কালবীন ছালিমা, প্রভাষক ফাইমা আক্তার ও প্রভাষক গৌরব রায়।
নাজমুস সালেহীন বলেন, বিআইসিএম দক্ষ জনশক্তি তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। পুঁজিবাজারের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু দুঃখজনক হলো, প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা জনশক্তি পাচ্ছি না। তিনি বলেন, বিআইসিএম এ অ্যাপ্লাইড ফাইন্যান্স অ্যান্ড ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম রয়েছে। যার সার্টিফিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদান করে। এখানেও আমরা শিক্ষার্থী পাচ্ছি না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী পাওয়া নিয়ে আমরা সমস্যায় আছি।
প্রশিক্ষক বক্তারা বলেন, সুকুক বন্ড ডিফল্ট করলেও বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তবে আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে কোনো ভালো সুকুক বন্ড নেই।
যে ছয়টি আছে সেগুলোতে সাড়া নেই। তারা বলেন, গ্রিন বন্ড নিতে হলে আন্তর্জাতিকভাবে লাইসেন্স নিতে হয়। আমাদের এখানে এটা করা হয়নি। এই লাইসেন্স নিতেও ফি জমা দেয়ার বিধান আছে।
গোলাম সামদানী বলেন, পুঁজিবাজারে উন্নয়নে বন্ডের বিকল্প নেই।
কিন্তু এ বন্ড সম্পর্কে জানা এবং বুঝার বিষয়ে কিছুটা ঘাটতি আছে। সেখান থেকেই এ আয়োজন। আশা করি এ ধরনের প্রশিক্ষণ সেই ঘাটতি মেটাতে ভূমিকা রাখবে।
জিয়াউর রহমান বলেন, সঠিক সময়ে বন্ডের অপব্যবহার না আটকানো গেলে বিনিয়োগকারীরা এর ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করবো যারা বন্ড এবং সুকুকের অপব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তবে সুকুক এবং বন্ডে বিনিয়োগ করা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে সে দিকে নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি।
আবু আলী বলেন, শেয়ারবাজার একটি সংবেদনশীল জায়গা। এ বিটে কর্মরত সংবাদকর্মীরা অর্থনীতি এবং বাণিজ্য বিভাগের বাইরে থেকেও এসেছেন।
ফলে সংবেদনশীল জায়গায় দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার জন্য সিএমজেএফ সব সময় সচেষ্ট। তারই ধারাবাহিকতায় এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন। আশা করি এ কর্মশালা শেয়ারবাজার ও অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা