৬৫৩১ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদ উদ্দিন।
আগামী রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ-সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দেন।
হাইকোর্ট রায়ে আপিল বিভাগের কোটাসংক্রান্ত সর্বশেষ রায় অনুসরণ করে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে ওই দিন জানিয়ে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আখতার হোসেন মো: আবদুল ওয়াহাব।
অন্য দিকে রিটকারীদের আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় হাজার ৫৩১ জনের তৃতীয় পর্যায়ের যে নিয়োগ ছিল, সেটি ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশনের পরিপন্থী। এ কারণে যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্য থেকে ১৫৩ জন রিট করেছিলেন। হাইকোর্ট বিভাগ সেই রিট পিটিশনে জারি করা রুল শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে উত্তীর্ণদের যে ফল ঘোষণা করেছে সেটিকে ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশনের পরিপন্থী এবং আপিল বিভাগের ২১ জুলাইয়ের রায়ের পরিপন্থী বলেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ৩১ অক্টোবরের যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি বাতিল হবে। নতুন করে মেধার ভিত্তিতে ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশন ফলো করে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
এ দিকে রায় ঘোষণার পর উত্তীর্ণ শিক্ষকরা হাইকোর্টের ওই বেঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় হাইকোর্টের দরজার সামনে থাকা পুলিশকে সরিয়ে তারা বেঞ্চে ঢুকে পাড়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা এসে ২৪ নম্বর এনেক্স হাইকোর্টের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। পরে তারা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ ছাড়েন।
এর আগে ৩০ প্রার্থীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদেশে নিয়োগপ্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে ছয় হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। বৃহস্পতিবার সেই রুলের ওপর রায় ঘোষণা করা হয়।
২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশনে মেধার যে ৯৩ শতাংশ নির্ধারণ করা ছিল সেটি ফলো করতে বলা হয়েছে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল ৫ শতাংশ। এ ছাড়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা ছিল।
২০২৩ সালের ১৪ জুন ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ৩১ অক্টোবরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করে তালিকা প্রণয়ন করা হয়।
১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ আদেশসংবলিত নির্দেশনা জারি করে। এ-সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী রিটটি করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা