১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ শাবান ১৪৪৬
`
মিটারে যাত্রী বহনের নির্দেশ

নাখোশ সিএনজিচালকদের সড়ক অবরোধ, রাজধানীতে তীব্র যানজট

-

সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করলে মামলা ও জরিমানার নির্দেশনায় নাখোশ হয়েছেন চালকরা। এ জন্য গতকাল সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে শতাধিক সিএনজি অটোরিকশাচালক রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে টেকনিক্যাল কলেজ মোড় পর্যন্ত অবরোধ করে রাখেন। ফলে ওই এলাকায়, আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, দেখা দেয় তীব্র যানজট। এই যানজট গড়ায় নগরীর বহু দূর পর্যন্ত। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছেন পরিবহন যাত্রী ও সাধারণ মানুষকে।
পুলিশ বলছে, বাধ্যতামূলক মিটারে সিএনজি অটোরিকশা চলাচলের সিদ্ধান্ত না মানার ঘোষণা দিয়েছেন চালকরা। তাদের অভিযোগ, মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পথে পথে চাঁদাবাজি, স্ট্যান্ডের নামে অবৈধভাবে অর্থ আদায়সহ নানা কারণে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক অটোরিকশা চালাতে পারেন না। অতিমুনাফালোভী মালিকদের জন্য তারা বাধ্য হয়ে মিটার ছাড়াই চালান। কারণ, প্রতি শিফটে মালিককে জমা দিতে হয় ৯৫০ টাকা। আর রাতের শিফটে সকাল ৬টা অবধি চালালে দিতে হয় আরো ৯০০ টাকা। ফলে, তাদের পক্ষে মিটারে সিএনজি চালিয়ে পরিবার নিয়ে রাজধানীতে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। অন্য দিকে যাত্রীদের অভিযোগ, সিএনজিচালকরা মিটারের বাইরে গিয়ে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করেন। মিটারে যেখানে ২০০ টাকা ভাড়া আসার কথা, সেখানে তারা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া হাঁকান। এমনকি বৃষ্টি বা বৈরী আবহাওয়ায় এই ভাড়া হাঁকানো সীমার বাইরে চলে যায়।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম আযম জানান, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ১০০ থেকে ১০৫ জনের মতো সিএনজিচালক সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন। এ সময় তারা বাধ্যতামূলকভাবে মিটারে যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিরোধিতা করে সেøাগান দেন। তবে ১০টা ৫ মিনিটের সময় তারা সড়ক ছেড়ে দেন।
সড়ক অবরোধের ফলে শ্যামলীসহ আশপাশের এলাকায় এবং নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের ভয়াবহতা দুপুর পর্যন্ত গড়ায়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
কলাবাগান এলাকায় যানজটে দীর্ঘ সময় আটকা পড়েন বাস যাত্রী সুমন। তিনি সাভার যাওয়ার উদ্দেশে পুরান ঢাকা থেকে বাসে উঠেন। কলাবাগান যেতেই অনেক সময় লেগে যায়।
এর পর সেখানে গাড়ি ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে। পরে বাস থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করছিলেন আর বলছিলেন- এমন একটা শহরে আমরা বসবাস করি। যেখানে আল্লাহ ৩০ দিনই কোনো না কোনো আন্দোলন চলতে থাকে। আর এর ভোগান্তি সহ্য করা লাগে সাধারণ মানুষকে।


আরো সংবাদ



premium cement
হাসিনার কলরেকর্ড ট্রাইব্যুনালে প্রধান উপদেষ্টার সাথে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ ভারতীয় পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে উত্তাল তিস্তা অববাহিকা বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা অগ্রাধিকার পাবে : তারেক রহমান গাজায় ২৬৬ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ইসরাইলের সৌদি থেকে আউট পাসে ফেরত আসছেন শত শত বাংলাদেশী জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে এ টি এম আজহারকে মুক্ত করে আনবে : ডা: শফিক তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা দিতে চায় চীন : রাষ্ট্রদূত ওয়েন পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কে চলতে হবে ভারতের উচিত হাসিনাকে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেয়ায় ‘নিষেধ’ করা সব চাপ উপেক্ষা করে জন-আকাক্সক্ষা পূরণের বার্তা নিয়ে ফিরলেন ডিসিরা

সকল