যাত্রীসহ যমুনা রেল সেতু প্রথম পাড়ি সিল্কসিটির
- সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
- ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীসহ যমুনা রেল সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলো আন্তঃনগর সিল্কসিটি ট্রেন। এর মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের নতুন রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টা ১২ মিনিটে যমুনা রেল সেতু দিয়ে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে পাড়ি দেয়।
যমুনা রেল সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘রেল সেতুতে দুটি লাইনের মধ্যে একটি লাইনে আজ বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালু হলো।’ পর্যায়ক্রমে শিডিউল অনুযায়ী ট্রেনগুলো চলবে এবং বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল আজ থেকে বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও জানান, রেল সেতুতে দুটি লাইন থাকলেও আজ একটি লাইন দিয়েই উভয় দিকে ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন কাল থেকে সেতুর উত্তর পাশের লাইন ব্যবহার করবে।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার করা হয়। প্রতিদিন ৩৮টি ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পারাপার হতো।
ট্রেনের ধীর গতি ও মালামাল পরাপারে সেতুর সমূহ সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে ২০২০ সালে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।
সরকার বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর সমদৈর্ঘ্যে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর রেল সেতুটির নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর রেল সেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চে।
রেল সেতু প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা করা হয়। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ অর্থায়ন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা। দেশের বৃহত্তর এ রেল সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু সেতুর সমদৈর্ঘ্যরে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের এ রেল সেতু ব্যবহারের জন্য ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়।
প্রকল্পের শুরুতে এই সেতুর নাম ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গত বছরের ডিসেম্বরে সেতুর নাম পাল্টে রাখা হয় যমুনা রেল সেতু।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা