বাংলাভিশনকে ক্ষমা চাইতে হবে : হামিদুর রহমান আযাদ
- কক্সবাজার অফিস
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গত ৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত জামায়াতের সমাবেশে একজন হিন্দু নেতার বক্তব্য দেয়া নিয়ে অসত্য সংবাদ প্রচার করে টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশন তার দায়িত্বশীলতার জায়গাটা অক্ষুণ্ণ রাখতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ। বাংলা ভিশন কেন এবং কী উদ্দেশ্যে জামায়াতের সমাবেশ নিয়ে তা তদন্তের দাবি রাখে। তিনি গতকাল কক্সবাজারে একটি আবাসিক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন জামায়াতের সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিমল কান্তি শীল অথচ তাকে পরিমল কান্তি দে বলে প্রচার করে বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন। দু’জনের নামের কিছুটা মিল থাকলেও বাবা-মা ও ঠিকানার কোনো মিল নেই। তারপরও এক পরিমলের সাথে আরেক পরিমলকে গুলিয়ে ফেলেছে। পরিমল কান্তি আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আর পরিমল কান্তি শীল একজন গ্রাম্য ডাক্তার। রাজনীতির সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। চব্বিশের ৫ আগস্টের পর কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর এ বাসিন্দা হিন্দু সম্প্রদায়ের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি অঞ্চলের ট্রাস্টি মনোনীত হয়েছেন। তিনি যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে। ইতঃপূর্বে তিনি কখনোই আওয়ামী লীগ কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না।
সাংবাদিক সম্মেলনে পরিমল কান্তি শীল বলেন ‘আমি কখনোই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। শুধু আওয়ামী লীগ নয়; কোনো রাজনীতির সাথেই ছিলাম না। আমি একজন সাধারণ মানুষ, গ্রাম্য ডাক্তার হিসেবে জীবিকানির্বাহ করতাম। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমাকে হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি করা হয়, যার জন্য আমাকে একটি টাকাও কাউকে দিতে হয়নি। কাউকে এক কাপ চা-ও খাওয়াতে হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার পারিবারিক ও জমিজমাসংক্রান্ত প্রতিপক্ষরা চক্রান্ত শুরু করেছেন।
পরিমল কান্তি শীল বলেন, আমি মনে মনে চিন্তা করলাম আমারো কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে থাকা দরকার। আমি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে যুক্ত হলাম। কেননা তারা মদ-গাঁজা খায় না। নিয়মিত নামাজ পড়েন। তারা ভালো মানুষ। আমার নেতা (এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ) যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছি।
এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন মিডিয়া যদি দর্পণ হয় তাহলে মিডিয়াকে ‘যাহা সত্য তাহাই তুলে ধরতে হবে’। মিডিয়ার শক্তি হবে নৈতিকতা। রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তা জাতির জন্য হুমকি। বাংলাভিশন বিভ্রান্তিকর নিউজ করে তাদের দায়িত্বশীলতার জায়গাটা ধরে রাখতে পারেনি। পরিমল কান্তি শীলকে আমি কখনো আওয়ামী রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টতা দেখিনি। নামে কিছুটা মিল থাকলেই দু’জন মানুষের চরিত্র, রাজনৈতিক বিশ্বাস এক হয়ে যায় না। আমরা জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশকে ঘিরে কিছু মিডিয়ার এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ বিস্মিত। এজন্য ওই মিডিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির আবদুল্লাহ আল-ফারুক, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, জেলা প্রচার সেক্রেটারি আল-আমিন মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।