অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ১৮ ভারতীয় নাগরিক আটক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৬
- ১৬২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ
- ১৫৩৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত
গত এক মাসে বাংলাদেশের সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ১৮ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।
এ ছাড়াও সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬৩ জন চোরাচালানি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩০৮ জন বাংলাদেশীকে আটক করা হয়েছে। অন্য দিকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে এক হাজার ৫৩৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে (রোহিঙ্গা) নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গতকাল বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিজিবি গত জানুয়ারি মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ১৬২ কোটি ৫২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে।
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে চার কেজি ৩৬৯ গ্রাম সোনা, চার কেজি ৫২৯ গ্রাম রুপা, ২১০ গ্রাম ডায়মন্ড, ১০ হাজার ১৮৭টি শাড়ি, তিন হাজার ৯৫টি থ্রিপিস/ শার্টপিস/ চাদর/ কম্বল, সাত হাজার ২৮৮টি তৈরী পোশাক, দুই হাজার ৬৯৮ মিটার থানকাপড়, তিন লাখ পাঁচ হাজার ৮২০টি কসমেটিকস সামগ্রী, এক হাজার ৩৭টি ইমিটেশন গহনা, ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬১টি আতশবাজি, চার হাজার ৩৫০ ঘনফুট কাঠ, চার হাজার ২৬২ কেজি চা পাতা, ১৫ হাজার ৬৫৬ কেজি সুপারি, চার লাখ ২০ হাজার ৩৫২ কেজি চিনি, দুই হাজার ৩৫৬ কেজি সার, দুই হাজার ৬৪১ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ৮২ হাজার ১২৫ কেজি কয়লা, ৭৩০ ঘনফুট পাথর, এক হাজার ৬০২টি মোবাইল, ৪৯ হাজার ৫০০টি চশমা, এক লাখ সাত হাজার ২২৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৩০ হাজার ৮৩৭ কেজি রসুন, ১৯ হাজার ৪৯৫ কেজি জিরা, একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ৯টি ট্রাক, ১২টি পিকআপ, চারটি প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস, দু’টি ট্রলি, ৪৩টি নৌকা, ৩৪টি সিএনজি বা ইজিবাইক, ৫৩টি মোটরসাইকেল ও ১৯টি বাইসাইকেল।
এ ছাড়া উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে তিনটি পিস্তল, একটি রাইফেল, দু’টি এয়ার গান, একটি ম্যাগাজিন, ২৪ রাউন্ড গুলি, একটি অটো এয়ার রাইফেল ও একটি শর্ট গান।
বিজিবি জানায়, জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ২৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দুই কেজি ১৩০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, আট কেজি ৯ গ্রাম হেরোইন, ৪২৬ গ্রাম কোকেন, ২৮ হাজার ৫০০ বোতল ফেনসিডিল, ১৮ হাজার ৬৫৫ বোতল বিদেশী মদ, ১৮১ লিটার বাংলা মদ, ৪৯৮ বোতল ক্যান বিয়ার, এক হাজার ৭৬০ কেজি গাঁজা, এক লাখ ৭৭ হাজার ৯১৭ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪৮ হাজার ৮৩৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট বা ইঞ্জেকশন, চার হাজার ৬৪২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬০৯ বোতল এমকেডিল বা কফিডিল, সাত লাখ ৬৯ হাজার ৩৭২ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ট্যাবলেট এবং ৯২ হাজার ৪৬৪টি অ্যানেগ্রা বা সেনেগ্রা ট্যাবলেট।