অন্তর্বর্তী সরকার কঠিন সময়ে এসে উপনীত হয়েছে : মান্না
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪২
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকার একটা কঠিন সময়ে এসে উপনীত হয়েছে।
গতকাল ৮ জানুয়ারি দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাষ্ট্র সংস্কার ফোরাম আয়োজিত ‘নির্বাচন সংস্কার বিশ্লেষণ’ শিরোনামের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ছয় মাস পরে এসে অন্তর্বর্তী সরকার একটা কঠিন সময় এসে পড়েছে। এটা তো সত্যি যে, উনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো করতে পারেননি। এত বড় অর্থনীতিবিদ! জিনিসের দাম কমাতে পারেন নাই। বিনিয়োগ, আয় বাড়েনি, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দুর্বল।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের অসন্তোষ নিয়ে মান্না বলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ার প্রতিবাদে মানুষ যদি রাস্তায় নামে, তবে এই সরকার কি তা থামাতে পারবে?
কোনো একটি রাজনৈতিক দল যদি তা সমর্থন করে হরতাল ডাকে তবে তা মোকাবেলা করার জন্য কি পুলিশ নামবে? সরকার তো ভারনাবেল। এরকম সরকার দিয়ে তো দীর্ঘদিন ভালো শাসন চালাতে পারবেন না। যখন তখন সেটা ভেঙে পড়তে পারে। তিনি বলেন, আমরা সরকারের সমালোচনা করি, কিন্তু কাঠগড়ায় তুলি না। আমরা জানি, এ সরকার পরাজিত হলে আমরাও পরাজিত হবো।
সরকারের সংস্কার কমিশন প্রসঙ্গে মান্না বলেন, সংস্কারের ওপর রাগটাগ করে লাভ নেই। সংস্কার সর্বাংশে ভালো জিনিস। সংস্কার করার ব্যাপারে সমগ্র জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ আছে। প্রশ্নটা হলো, সংস্কারটা কতখানি লাগবে। তবে ইউনূস সাহেব বলেছেন, কোনো বিষয়ে ন্যূনতম যে ঐকমত্য হবে, সরকার ততটুকু সংস্কার করবে। কোনো সংস্কার চাপিয়ে দেবেন না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, কেউ যদি উসকানি দেন আর আপনি উসকান, আর এটা যদি প্রতি তিন মাস পরপর ঘটতে থাকে, তো আগামী তিন বছরেও তো ভোট করতে পারবেন না। ভোট করতে তো একটা পরিবেশ লাগবে। আপনি জিততে চান, কিন্তু ফ্যাসিবাদের ওপর রাগ দেখিয়ে কি জিততে পারবেন? লড়াই করে, রক্ত দিয়ে যে বিজয় আমরা অর্জন করেছি, তা বুদ্ধি-স্থিরতা তথা ধী শক্তি দিয়ে রক্ষা করতে হবে।
আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (রওশন) সাবেক নেতা গোলাম সারোয়ার মিলন, নিরাপদ সড়ক চাই- নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমিরুল করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।