আওয়ামী লীগ নামে আর কেউ রাজনীতি করতে পারবে না : সালাহউদ্দিন আহমেদ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৯
জনগণ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করায় আওয়ামী লীগ নামে আর কেউ রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদ’ এর উদ্যোগে ‘জাতীয় ঐক্য ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণ-অভ্যুত্থান, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনীতিকে প্রত্যাখান করেছে, তাদের বিতাড়ন করেছে। সে দল আওয়ামী লীগ নামে আর রাজনীতি করতে পারবে না- এই আওয়াজ আমরা উঠাচ্ছি। আমরা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করছি।
তিনি আরো বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্ধারণ হোক বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ রাজনীতি ও নির্বাচন করতে পারবে কিনা। সংবিধানে বিধান সংযুক্ত আছে, সেই অনুযায়ী আপনারা আইন প্রণয়ন করুন। কাউকে কাউকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, মানবতাবিরোধী অপরাধ আদালতে যাদের বিচার হচ্ছে- সেই বিচারে হয়তোবা অবজারভেশন আসবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি সম্পর্কে। সেটা অত্যন্ত দুর্বল অবজারভেশন। তখনও আপনাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) প্রশাসনিক আদেশ দিতে হবে, আইন প্রণয়ন করতে হবে সেই অবজারভেশনের নিরিখে। কিন্তু এখন যদি আপনারা সোচ্চার হোন বিচারের জন্য- বাংলাদেশের মানুষ চায়, দেশ থেকে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী রাজনীতি একদম নির্মূল হয়ে যাক সেই ব্যবস্থা আপনারা নিতে পারেন।
আওয়ামী লীগকে নিয়ে সরকার দ্বিচারিতা করছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগকে কোনো কর্মসূচি করার জন্য রাজপথে নামতে দেবেন না মানি, কিন্তু এভাবে আওয়ামী লীগকে আপনি ক’দিন রাজপথে পুলিশ দিয়ে ঠেকাবেন? আপনারা বলবেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আমরা চাই না, আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে না। কিন্তু কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন? আইনি কোনো পদক্ষেপ কি এই সরকার নিয়েছে? না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের ব্যবস্থা করা হোক এবং সেই নিরিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করা হোক, জনগণও দাবি করেছে। এই সরকার অধ্যাদেশ ও আইন সংশোধনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, হঠাৎ করে তারা ক্যাবিনেট মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, এটা করা যাবে না। কেন? এক দিকে চাইবেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক, আবার তাদের বিচার করবেন না, আবার পুলিশ দিয়ে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি আপনারা বাধা দেবেন এটা তো স্ববিরোধিতা।
সংস্কারের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘বেশি সময় নেয়ার কৌশল নিলে’ জাতি তা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনমুখী সংস্কারের জন্য যে সমস্ত সংস্কার স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়ন করা দরকার, আপনারা সেটা চিহ্নিত করুন এবং সব মহলের সাথে, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করুন এবং সেটার আইনি সংস্কার করুন। আইনি সংস্কারের পর যদি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করার দরকার হয় সেটা করবেন। এর জন্য কত সময় লাগবে, আমরা জানি। তবে সংসদ নির্বাচন দিতে দেরি হলে সরকারকে জনগণের সামনে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরার আহ্বান জানান বিএনপির এই নীতিনির্ধারক।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সবার সাথে আলোচনা করে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রদান করুন এবং যৌক্তিক মনে হলে জনগণ সেই রোডম্যাপ মেনে নেবে।
সংগঠনের সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল খানের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক সেলিম পারভেজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদসহ আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা