ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে পারলেও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি : নজরুল ইসলাম

‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ফ্যাসিবাদের পতন চেয়েছি’ এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে কিন্তু এখনো আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।
গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাথে এ বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। যেকোনো দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি মানুষের কল্যাণের জন্য যেসব কাজ করা উচিত সেসব কাজে তাদের কোনো দ্বিমতের কারণ নেই। আমরা যুগপৎ আন্দোলন করেছিলাম, সেই আন্দোলন সবসময় সরকারবিরোধী হবে এমন কথাও নেই। যেকোনো আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য আমরা যুগপৎ আন্দোলন এক সঙ্গে করতে পারি।

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ফ্যাসিবাদের পতন চেয়েছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, কিন্তু এখনো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। দেশের জনগণের অবাদ সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ভোটের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে। এরকম একটা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যা কিছু সংস্কার প্রয়োজন সেগুলা করেই নির্বাচন হবে। তার জন্য মিনিমাম যে টাইম সেটা তো লাগবে। কিন্তু সে সংস্কার করে নির্বাচন করতে বেশি সময় লাগার কথা না।
জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি বলেন, অনেক মানুষের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলেও পরাজিত ফ্যাসিস্ট ও তার দোসরদের কূট চাল ও ষড়যন্ত্র থেকে দেশে এখনো মুক্ত হয়নি। সঙ্গত কারণে আমরা একমত হয়েছি দেশ প্রেমিক জনগণের ঐক্য প্রয়োজন। যেকোনো উপায়ে ঐক্য অটুট রাখতে হবে। আমরা খুবই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে দ্রুত নির্বাচন চাই। আগেও বলেছি এখনও আমরা বলছি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে ২০২৫ সালের মধ্যে জাতির বহুল কাক্সিক্ষত নির্বাচন আমরা প্রত্যাশা করছি। আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার জন্য সব দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনে সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাবে দেশকে।