৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

হতাশ হবেন না, আমরা ব্যর্থ হবো না : প্রফেসর এম আমিনুল ইসলাম

-

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী), শাবিপ্রবির সাবেক ভিসি প্রফেসর এম, আমিনুল ইসলাম ‘হতাশ হবেন না, আমরা ব্যর্থ হবো না’ মন্তব্য করে বলেছেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। সামনে সুদিন আসছে। তার সরকারকে শিক্ষাবান্ধব উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতির মূল উৎপাটন করে যোগ্য লোকবলের পদায়নের মাধ্যমে পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি থেকে শুরু করে কলেজের অধ্যক্ষ, স্কুল কলেজের শিক্ষক নিয়োগে এতদিন যে রমরমা বাণিজ্য চলে এসেছে এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রফেসর এম, আমিনুল ইসলাম বুধবার রাতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভিসি ভবনের হলরুমে শাবিপ্রবির ভিসি ও শিক্ষকরা এবং সিলেটের প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয় কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দানকালে এসব কথা বলেন।
শাবিপ্রবির ভিসি প্রফেসর এ এম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খান মো: রেজা উননবী, সিলেট মেট্রোপলিটান পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার মো: রেজাউল করিম, সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মো: মাহবুব মুরাদ, সিলেটের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, শাবিপ্রবির প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম, ট্রেজারার প্রফেসর ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। সভায় সিলেটের গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রধান আবদুল কাদের তাপাদার।
শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের আভাস দিয়ে বিশেষ সহকারী প্রফেসর আমিনুল ইসলাম বলেন, বেকার বানানোর শিক্ষার পরিবর্তে কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের দিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। সবাইকে অনার্স মাস্টার্স পড়তে হবে কেন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, প্রাইমারি থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষার স্তর পর্যন্ত শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন আনতে হবে। শুরু থেকেই নৈতিকতার বিষয়কে কারিকুলামে যুক্ত করতে হবে। সবাইকে একই ধারার শিক্ষায় না রেখে ফলাফল ও মেধা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভাগ করে নিতে হবে। সবাইকে কলেজে পড়ার দরকার নেই। আবার সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ার দরকার নেই।
শিক্ষায় কোয়ালিটি বাড়াতে শিক্ষকদের বেতন কাঠামোতে পরিবর্তনের চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, স্কুল কলেজের ম্যানেজিং কমিটি, পরিচালনা কমিটিতে ভালো মানুষদের জায়গা করে দিতে হবে।
শাবিপ্রবির ভিসি প্রফেসর সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্লে, কেজি ওয়ান, টু ইত্যাদি কোমলপ্রাণ শিশুদের বয়স কিল করার ক্লাস। এগুলো একটা বাণিজ্যের অংশ। শিক্ষার অংশ নয়। এসব ক্লাসকে সম্পূর্ণ অর্থহীন অভিহিত করে তিনি এসব বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষা বিষয়ে উন্নত বিশ্বে তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। বলেন, পিঠ চাপিয়ে একগাদা বই নিয়ে এ দেশে শিশুদের স্কুলে যেতে দেখে খুব দুঃখ লাগে। উন্নত দেশে বইয়ের পরিবর্তে ব্যবহারিক শিক্ষা দেয়া হয়।
আবদুল কাদের তাপাদার বলেন, একটি শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার আমূল পরিবর্তন দরকার। আর এটা এই সরকারেরই করা উচিত।
এদিকে, গতকাল রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রফেসর এম, আমিনুল ইসলামের সাথে শাবিপ্রবি প্রেস ক্লাব নেতারা এবং শাবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মতবিনিময়ে মিলিত হন।
প্রফেসর আমিনুল ইসলাম তিন দিনের সরকারি সফরে সিলেট বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের সাথেও বৈঠক করবেন।


আরো সংবাদ



premium cement