দারুল ইহসান ট্রাস্টের পাল্টা কমিটির কাজে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বেড়েছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৯
দারুল ইহসান ট্রাস্ট ১৯৮৬-এর মুহাম্মদ ফয়জুল কবীরের নেতৃত্বাধীন পাল্টা কমিটির কার্যকারিতার উপর স্থগিতাদেশ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। গত মঙ্গলবার এই আদেশের লিখিত কপি পাওয়া যায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দারুল ইহসান ট্রাস্ট/১৯৮৬ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আলী আশরাফ প্রতিষ্ঠিত একটি শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ২০০৬ সালে জনৈক মুহাম্মদ ফয়জুল কবীরের যোগসাজশে সৈয়দ আলী নকী দুরভিসন্ধিমূলকভাবে মূল ট্রাস্ট/১৯৮৬-এর অগোচরে একই নামে আরজেএসসিতে আরেকটি ট্রাস্ট নিবন্ধন করেন। উক্ত ট্রাস্টের নিবন্ধনকারী মুহাম্মদ ফয়জুল কবীরের (সৈয়দ আলী নকী) বিরুদ্ধে ট্রাস্ট/১৯৮৬ ঢাকার সহকারী জজ প্রথম অতিরিক্ত আদালতে ২১৩/২০০৬ দেওয়ানি মোকদ্দমা দায়ের করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত মামলার বাদি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ১৮৬৪/২০১৯ নং আবেদন দায়ের করে হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। পরবর্তীতে অত্র ট্রাস্ট/১৯৮৬ আপিল বিভাগে নিয়মিত সিভিল আপিল নং ২৫/২০২৩ দায়ের করেন।
শুনানি অন্তে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ গত ৫ ডিসেম্বর মুহাম্মদ ফয়জুল কবীর কর্তৃক আরজেএসসিতে দাখিলকৃত পাল্টা ট্রাস্ট কমিটি গঠন এবং অন্যান্য কর্মতৎপরতার উপর ৮ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। এর পর ২৮ জানুয়ারি দারুল ইহসান ট্রাস্ট/১৯৮৬-এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার জজ প্রদত্ত ইতঃপূর্বের স্থগিতাদেশের মেয়াদ মূল মামলা (সিপি ২৫/২০২৩) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে মর্মে বিজ্ঞ অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড কর্তৃক স্বাক্ষরিত ল’ইয়ার্স সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট সবাইকে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মান্য করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করার দায়ে অভিযুক্ত হবেন বলে উল্লেখ করা হয়।