৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

অবৈধ ইটভাটা নিয়ে ৩ বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে তলব

-

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আদেশ প্রতিপালন না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তিন বিভাগীয় কমিশনার, তিন জেলা প্রশাসক এবং দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ওই আটজনকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
যাদের হাজির হতে বলা হয়েছে তারা হলেন- ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার; নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসার।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, সারা দেশের অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর এবং ২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বর দেয়া হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করায় তাদের আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ব্যক্তিগতভাবে আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সারা দেশে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দাখিল করে। ওই রিট পিটিশনের শুনানি শেষে আদালত ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বিবাদিদের প্রতি রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।
তিনি জানান, বিভাগীয় কমিশনাররা কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর আবারো প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারদের অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আদেশ পাওয়ার পর বিভাগীয় কমিশনাররা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, আগের বন্ধ করা ইটভাটাগুলোর নাম পুনরায় বন্ধ করা ইট ভাটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং সব অবৈধ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে না পারায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার; নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে আদালতে হাজির হয়ে এ ব্যাখ্যা দিতে এইচআরপিবির পক্ষে আদালতে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়।
শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী বলেন, অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম শুরু হলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম যাতে শুরু করতে না পারে সে মর্মে নির্দেশনা না দিলে এসব অবৈধ ইটভাটা আবার এ মৌসুমে কাজ শুরু করবে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement