নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা থাকবে বিশ্ব ইজতেমা আইজিপি

এ বছর বিশ্ব ইজতেমায় নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীতে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি কাজ পরিদর্শন শেষে ময়দানের বিদেশী খিত্তায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো বলেন, ‘এবারের ইজতেমা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ওয়াচ-টাওয়ার, সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোন নজরদারি, হেলিকপ্টার টহল ও স্পিডবোট মোতায়েন করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আইজিপি আরো বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত আইজিপি আকরাম হোসেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল হাসান, তাহেরুল হক চৌহান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক, তাবলিগের শূরায়ি নিজামের দায়িত্বশীল মাওলানা মাহফুজুল হক ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম রনি।
পরে আইজিপি ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করতে আসা পুলিশ সদস্যদের অস্থায়ী নিবাস টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ পরিদর্শন করেন।
নিরাপত্তায় বিপুল জনবল ও প্রযুক্তি : জিএমপি সূত্রে জানা যায়, এবার আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সাত সহস্রাধিক সদস্য ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। তাদেরকে তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে ১০ সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক সহযোগিতা করবেন। পুরো ময়দান ও আশপাশে ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ড্রোন ও হেলিকপ্টার নজরদারি করবে ইজতেমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। ২০টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে সন্দেহভাজনদের পর্যবেক্ষণে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইনোকুলারে নজরদারি করবে নিরাপত্তাবাহিনী। নৌ পুলিশের স্পিডবোট টহল থাকবে তুরাগ নদে। সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন প্রতিটি খিত্তায়।