কারিগরিতে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ৩ হাজার ৫৩৪ জনের নিয়োগ স্থগিত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর’পদে নিয়োগসংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো: আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
ফলে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে তিন হাজার ৫৩৪ জনের ২৯ জানুয়ারি যোগদানের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
এ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলে শওকত আকবরসহ নিয়োগবঞ্চিত ১৮ জন চলতি মাসে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: মাকসুদ উল্লাহ। সাথে ছিলেন আইনজীবী এ জেড এম নূরুল আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: গোলাম রহমান ভূঁইয়া।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর ওই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) ননক্যাডার হিসেবে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর, ইনস্ট্রাক্টর ও ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর পদের (৯ম ও ১০ম গ্রেড) জন্য ওই বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ৩ হাজার ৫৩৪ জনের নিয়োগ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনকারীপক্ষের তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর ওই নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ২০২২ সালের ১৮ মার্চ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত। তবে এ নিয়োগ পরীক্ষায় ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস’ হয়েছে, এমন অভিযোগ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে গত বছর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পিএসসি গত বছরের ২৬ নভেম্বর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। মনোনীত প্রার্থীদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন ১০ম গ্রেডে নিয়োগে সাময়িকভাবে সুপারিশ করা হয়। গত ২৩ জানুয়ারি তিন হাজার ৫৩৪ জনকে যোগদানের জন্য পৃথক প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়।
এ অবস্থায় নিয়োগ চূড়ান্ত করে যোগদানসংক্রান্ত ওই প্রজ্ঞাপন নিয়ে সম্পূরক আবেদন দাখিল করেন রিট আবেদনকারীপক্ষ। শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেন।
সেই সাথে যোগদানসংক্রান্ত ২৩ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনগুলো (৪৩টি) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষাসচিব, পিএসসির চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ (ননক্যাডার) বিবাদিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা