ইসির কেনা ইভিএমে ত্রুটি রয়েছে : দুদক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৪
নির্বাচনের জন্য ইসির কেনা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ত্রুটি রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে এই ত্রুটি ধরা পড়েছে।
নিম্ন মানের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অভিযানে ইসির কেনা সেই ইভিএম মেশিনে ত্রুটি ধরা পড়েছে। ফলে সামনে যেখানে যেখানে ইভিএম সংরক্ষণ আছে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানায় দুদক।
ইসি ভবনে দুদকের উপ-পরিচালক নুর আলম সিদ্দিকী অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালে ইসি দেড় লাখ ইভিএম মেশিন ক্রয় করে। এই মেশিনের মধ্যে ১ লাখ ৫০০ মেশিন ব্যবহারের অনুপযোগী হিসেবে অভিযোগ করা হয় আমাদের কাছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা দেখেছি ইভিএমগুলো ইসি তিন জায়গায় সংরক্ষণ করে রেখেছে। ইসি, বিএমটিএফ (বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড) ও ইসির ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে। কিছু মেশিন র্যানডমলি যাচাই করি। প্রতি তিনটি মেশিনের একটি ত্রুটিপূর্ণ পেয়েছি। কিছু মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটি ও কিছু অচল পেয়েছি। ইসি ৬১৮টি ইভিএম সংরক্ষণ করেছে। এ ছাড়া বিএমসটিএফ ৮৬ হাজার এবং ইসির ১০টি আঞ্চলিক অফিসে ৬২ হাজার ইভিএম সংরক্ষণ করছে।
দুদক কর্মকর্তা বলেন, নি¤œ মানের মেশিন ক্রয় করার ক্ষেত্রে কিছু রেকর্ড সংরক্ষণ করেছি। বাকি রেকর্ডগুলোও সংরক্ষণ করব। আরো তথ্য যাচাই করে সামনে আরো অভিযান পরিচালনা করা হবে। ইসি আমাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। প্রসঙ্গত প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৩ টাকা দরে মোট দেড় লাখ ইভিএম সেট ক্রয় করা হয়। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও এখনো তা ইসিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।
নির্বাচন ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার প্রকল্প নেয়া হয়। প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা