খুবি ছাত্র অর্ণব হত্যার কোনো ক্লু মেলেনি তিনজন আটক
- খুলনা ব্যুরো
- ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
খুলনা মহানগরীতে শুক্রবার রাতে আততায়ীদের হাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ছাত্র অর্ণব কুমার হত্যার পর একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নেমেছে ঘাতকদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে। সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আরো একাধিক সন্দেহভাজনকে নিজেদের হেফাজতে নেয়া হতে পারে বলে পুলিশ জানায়। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে যে গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এ হত্যাকাণ্ডে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। একটি শর্টগান অপরটি পিস্তল। হত্যাকারীরা পেশাদার খুনি।
শুক্রবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে মোটরসাইকেলে আসা খুবি ছাত্র অর্ণব কুমার সরকারকে হত্যা করে চার/পাঁচটি মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট, মাস্ক পরিহিত অস্ত্রধারীরা। প্রথমে একটি ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক ছড়িয়ে তাকে পরপর পাঁচটি গুলির পর আবারো তার পায়ের রগ কাটার চেষ্টা করে খুনিরা। শেষে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে তারা এলাকা ত্যাগ করে মোটরসাইকেলেই।
শুক্রবার হওয়ায় সেখানের অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ ছিল। অর্ণব সেখানকার একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে চা পান করার সময় মোটরসাইকেলে আসা অস্ত্রধারীরা তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। কিন্তু শনিবার কয়েকজন চা-দোকানির সাথে কথা হলে সে সময় কারোর দোকানই খোলা ছিল না বলে তারা জানান। কোনো ভয়ে বা ঝামেলা এড়াতে তারা এমন বলতে পারেন বলে কারো কারো ধারণা।
ঘটনাস্থলসহ নগরীর অনেক এলাকায় শনিবার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছেন বলে দেখা যায়। এ ছাড়া পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই ও র্যাবের সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন। অপর দিকে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে অর্ণব নিহত হওয়ার পর প্রথমে নেয়া হয়েছিল একটি প্রাইভেট হাসপাতালে। সেখানে মৃত ঘোষণার পর লাশ নেয়া হয় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।। সেখানে শনিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর ১২টার দিকে লাশ নেয়া হয় নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন ইসলাম কমিশনারের মোড়সংলগ্ন হাজী ইসমাইল লিংক রোডের বাড়িতে। লাশ নিয়ে বাড়িতে কিছু সময় রাখার পর নেয়া হয় গল্লামারী মহাশ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
অর্ণবের বড় কাকা আগেই মারা গেছেন। বাবা নিতিশ চন্দ্র সরকার ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয়। পরের তিন ভাইসহ সবাই থাকেন একই বাড়িতে। অর্ণবের এক কাকা সেলুনের ব্যবসা করেন। বাবাসহ অন্য দুইজন বিল্ডিংয়ের কাজের ঠিকাদারি করেন। তারা বাগেরহাটের রামপাল থেকে এসে নগরীর বানরগাতিতে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।