মহার্ঘ্য ভাতা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
মহার্ঘ্য ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীরা। তারা বলছেন, মহার্ঘ্য ভাতা দেয়া হবে না বলে সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত সরকার যদি নিয়ে থাকে তাহলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তারা এসব কথা বলেন। এ সময় ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মহার্ঘ্য ভাতা দেয়ার নিশ্চয়তা না পেলে ৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের ঘোষণা করেন তারা। এ ছাড়া বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে স্কেল দেয়ার জন্য পে কমিশন গঠনের দাবি এবং যেসব কর্মচারী বেতন স্কেলের শেষ ধাপে চলে গেছেন তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি চলমান রাখার আহ্বান জানান।
বক্তারা সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন বৈষম্যের কথা তুলে ধরে বলেন, ১০ বছর ধরে সরকারি কর্মচারীদের বেতনভাতা বাড়ানো হয় না। কিন্তু দেশের সব সেক্টরের কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সাত বছর ধরে বৈষম্যমুক্ত পে স্কেলের দাবিতে আন্দোলনের পরে বৈষম্যবিরোধী সরকার মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানের জন্য কমিটি গঠন করেছে, যার ফলে কর্মচারীরা আশার আলো দেখেছিলেন। কিন্তু কিছু সুশীল নামধারী লোক এর পেছনে লেগেছে। যেন সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ালেই দেশে যত সমস্যা। নিম্ন বেতনভোগীরা কত কষ্ট আছে, তা বিবেচনা না করে তারা উপসচিবদের সুযোগ সুবিধার সাথে তুলনা করে কর্মচারীদের বিপক্ষে কথা বলছেন।
১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয়ক মো: মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম এখন মহার্ঘ্য ভাতা দেয়া হবে না। যদি এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে সারা দেশে কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা অবিলম্বে বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে স্কেল দেয়ার জন্য পে কমিশন গঠনের দাবি জানান, একই সাথে যেসব কর্মচারী বেতন স্কেলের শেষ ধাপে চলে গেছেন তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি চলমান রাখার আহ্বান জানান।
ফোরামের সভাপতি লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জিয়াউল হক, সহসভাপতি আশফাকুল আশেকীন, ১১-২০ ফোরামের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, অর্থ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান, মো: শাহআলম, ঢাকা বিভাগ সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি রবিউল ইসলাম সোহাগ, মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন, কেফায়েত হোসেন সোহাগ, সহসভাপতি ফজলুর রহমানসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতারা।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে মহার্ঘ্য ভাতা দেয়ার ঘোষণা ছিল অন্যতম; যা চলতি জানুয়ারি মাস থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। মহার্ঘ্য ভাতা বাস্তবায়ন হলে মূল্যস্ফীতির রাশ টানা যেত না, তাতে সমাজে দেখা দিত বৈষম্য এই আশঙ্কায় সব মহল থেকে সরকারের এ উদ্যোগ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় মহার্ঘ্য ভাতা থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসে সরকার। তবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে নতুন অর্থবছরের বাজেটে বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা