এ দেশকে নিয়ে আমরা আর কাউকে খেলতে দেবো না
- নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ ও তাড়াশ সংবাদদাতা
- ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী আমলে ২ কোটি ভুয়া ভোটার করা হয়েছে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছে। কিন্তু এ জোড়াতালির ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন হবে না। নতুন করে ভোটার তালিকা করে ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন দিতে হবে। গতকাল বিকেলে রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে নিমগাছী ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মানুষ জীবন দিয়েছে নতুন করে ফ্যাসিবাদী শাসন দেখার জন্য নয়। ২০০৮ সালে ছিল সাজানো নির্বাচন, ২০১৪ বিনা ভোটে, ২০১৮ রাতের ভোটে এবং ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচনে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ।
বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। যে জনগণ ভারতীয় আধিপত্যবাদকে বিদায় করেছে। সরকারকে বলব, আপনারা না পারলে সিন্ডিকেট কারা করছে, জনগণের হাতে সোপর্দ করুন। তারাই সিন্ডিকেট ভেঙে দেবে।
দেশটা কারো বাপের না। দেশটা কোনো দলের না। এই দেশকে নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না।
দেশজুড়ে একটা আওয়াজ উঠেছে, সবদল দেখা শেষ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা সম্মানিত হবে। অমুসলিমরা সবেচয়ে ভালো থাকবে। ইসলামী সরকার তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেবে। জামায়াতের কাছে অমুসলিমরা সবচেয়ে নিরাপদ থাকবে।
তিনি বলেন, যেনতেন নির্বাচনের জন্য মানুষ জীবন দেয় নাই। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয় নাই। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংস্কার শেষে কবে নির্বাচন হবে তার একটা স্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। তবে সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করা যাবে না।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আরো বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আর কাউকে খেলতে দেয়া হবে না। আগামী দিনের বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বানাতে চাই। যে রাষ্ট্র কারো প্রভুত্ব মেনে নেবে না।
প্রয়োজনীয় সংস্কার করেই নির্বাচন দিতে হবে। যেনতেন সংস্কার মানব না, তবে সেই সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ মানব না। এ দেশের মানুষ জেগে উঠতে শিখেছে। জেগে ওঠা জনগণ কারো প্রভুত্ব মানবে না। গত ১৬ বছরে পুরো বাংলাদেশ একটি বন্দিশালা বানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। বিনা দোষে আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হতো। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে যারাই সংগ্রাম করতে চেয়েছে তাদেরই টুটি চেপে ধরা হয়েছিল। তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু মানুষ হত্যা করে তাদের শেষ রক্ষা হয়নি।
রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির আলী মুর্তজার সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ, সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা শাহিনুর আলম। তাড়াশ উপজেলা জামায়াতের আমির গোলাম সাকলায়েন, সলঙ্গা থানা জামায়াতের আমির রাশেদুল ইসলাম এবং রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ডা: এম মনসুর আলীর যৌথ সঞ্চালনায় জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সালাম, সিরাজগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল লতিফ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক নাসির উদ্দীন,রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুস সাত্তার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা কাজিপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাসান মনসুর মিলন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ সেক্রেটারি সোলায়মান হোসেন, সলঙ্গা থানা জামায়াতের সাবেক আমির হোসাইন আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সিরাজগঞ্জ শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ শহর শিবিরের সভাপতি শামীম রেজা, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আলহাজ উদ্দীন, সেক্রেটারি আব্দুল আজীজ প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা