২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৩ রজব ১৪৪৬
`

চট্টগ্রামে ৪ হাজার সিএনজি অটোরিকশার অনুমোদন ঝুলে আছে একযুগ

-

- চলছে ১০ হাজারের বেশি অবৈধ অটোরিকশা
- বড় গণপরিবহন না বাড়ায় বেড়েছে যানজট

চট্টগ্রাম মহানগরীতে গত ১২ বছর ধরে ঝুলে আছে নতুন চার হাজার সিএনজি অটোরিকশার অনুমোদন। তবে নতুন করে বৈধভাবে সিএনজি অটোরিকশার অনুমোদন না মিললেও নগর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা। এতে সরকার যেমন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি ভেঙে পড়ছে ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: হারুনুর রশীদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরীতে অনুমোদিত সিএনজি অটোরিকশা আছে ১৩ হাজার। তবে সিএনজি অটোরিকশা চালক আছে অন্তত ৩৫ হাজারের বেশি। এ কারণে একটি সিএনজি দুই শিফ্টেও ভাড়ায় চালাতে হয়। দৈনিক ভাড়া ৯০০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও সেখানে মালিকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন। বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি।
তিনি আরো জানান, ২০১৩ সালের ১৩ এপ্রিল যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে আরো চার হাজার সিএনজি অটোরিকশা বরাদ্দ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অথচ গত এক যুগেও এ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হয়নি। ওই সময়েই খসড়া নীতিমালাও প্রস্তুত করা হয়েছিল। গাড়ির সিলিং বাড়িয়ে নিবন্ধন দেয়ার জন্য আমরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। উচ্চ আদালত ২০১৮ সালে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই নির্দেশনাও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। এখন একটি পুরাতন চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকার সিএনজি অটোরিকশার নম্বর বিক্রি হচ্ছে ২০ লাখ থেকে ২১ লাখ টাকায়। চাহিদা বেশি থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ গ্রামে সিএনজি অটোরিকশা চার থেকে পাঁচ লাখের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সূত্র জানায়, ২০০১ সাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৩ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার নিবন্ধন দেয়া হয়। এসব গাড়ির মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয় ১৫ বছর করে। ইতোমধ্যে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ক্যাপ করার পর নতুন করে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০০১ সালের পর গত ২৪ বছরে নতুন করে আর কোনো সিএনজি অটোরিকশার নিবন্ধন দেয়া হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে মহানগরীর জনসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। গাড়ির চাহিদাও বেড়েছে। বেড়েছে চালকের সংখ্যাও।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিআরটিএ উপপরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী নয়া দিগন্তকে বলেন, সিএনজি অটোরিকশার অনুমোদনের ব্যাপারটি আমাদের জানা নেই। তবে গত মিটিংগুলোতে আমরা সিএনজি অটোরিকশার চেয়ে গণপরিবহন বা বাস বাড়ানোয় গুরুত্বারোপ করেছি। এতে করে রাস্তায় যানজট কম হয়।
অর্থাৎ তিনটি সিএনজির জায়গায় একটা বাস দাঁড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনটি অটোরিকশায় যেখানে ৯ জন মানুষ যাতায়াত করতে পারে। সেখানে একটি বাসে ৩০ জন মানুষ যাতায়াত করতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিরসরাইয়ে পর্যটকবাহী বাস খাদে, নিহত ১ ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসায় সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলি কেনো, আর কোন শব্দেই ঘুম ভাঙ্গেনি শহীদ রিয়াজের চুয়াডাঙ্গায় সূর্যের দেখা নেই, আবারো শৈত্যপ্রবাহের আভাস ভারতের জন্য ট্রাম্প ২.০, কতটা আশা-আশঙ্কার? ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত মাগুরায় থ্রি হুইলার-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত ফ্যাসিবাদী শক্তি কোরআনের আওয়াজকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল : শাহজাহান সপ্তাহ ব্যবধানে সূচক বাড়লেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ব্যাংকখাত ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের হুমকিতে নতুন কিছু নেই : রাশিয়া ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

সকল