মিষ্টির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৫
মিষ্টি ও বেকারি পণ্যসহ অন্যান্য আইটেমের ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সুইটস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদুল্লাহ কোরাইশীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে আগামী সাত দিনের মধ্যে মিষ্টির ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন সুইটস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো: কফিল উদ্দিন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ছালেহ আহমেদ সুলেমান, অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আনোয়ারুল কিবরিয়া, উপদেষ্টা নুরুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলাউদ্দীন আল হাসেম, দফতর সম্পাদক এম এ সবুর, নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক নীলাদ্র কুমার দে, কাজী মনিরুল ইসলাম উজ্জ্বল, আ ই মু তালেব, সঞ্জয় আচার্য, মুজিবুর রহমান, হারাধন দত্ত, জিয়া উদ্দীন আল মামুন, কলিমুল্লাহ ও মো: আবু বকর সিদ্দিক।
বক্তারা বলেন, ফুড প্রসেসিং সেক্টর বাংলাদেশে একটি সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় সেক্টর। এই সেক্টরে লাখ লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে জড়িত। বিশেষ করে কর্মসংস্থান, কাঁচামালের জোগানদাতা ও এ দেশের কোটি কোটি কৃষক। এই সেক্টর ধ্বংস হলে কোটি কোটি মানুষ বেকার হবে, সেই সাথে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিরাট ঘাটতির সৃষ্টি হবে। কেননা এই সেক্টরে অনেক পণ্য বিদেশেও রফতানি হয়।
আমরা সবসময় সরকারের সব আইনকানুন মেনে নিয়মিত ভ্যাট ট্যাক্স পরিশোধ করে ব্যবসা করে থাকি। এর পরও কিছু কুচক্রী মহলের অপতৎপরতায় বর্তমান এই শিল্প রুগ্ণ শিল্পে পরিণত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। জ্বালানি গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি, সেই সাথে ময়দা, পাউডার দুধ, চিনি, তেলসহ বিভিন্ন কাঁচামালের অব্যাহতভাবে মূল্য বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নাভিশ্বাস উঠেছে। ইতোমধ্যে অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে, আরো অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে। তাই আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ বা তারও নিচে নিয়ে এসে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে; অন্যথায় অদূর ভবিষ্যতে ফ্যাক্টরি বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা থাকবে না।
যারা নিয়মিত ভ্যাট দেন তাদের ভ্যাটের হার বৃদ্ধি না করে, যারা এখনো ভ্যাটের আওতায় আসেনি তাদেরকে ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসা এবং নতুন নতুন ভ্যাটের খাত সৃষ্টির মাধ্যমে ভ্যাট আহরণের উদ্যোগ গ্রহণ করলে সরকারের রাজস্ব আরো অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
আমাদের তৈরী বেশির ভাগ পণ্য নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তরা গ্রহণ করে। ১৫/২০/২৫/৩০ টাকার পণ্যগুলো ভ্যাটসহ জ্বালানি ও অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়লে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাবে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ শিল্পটি শ্রমঘন শিল্প। এই শিল্পের বিপর্যয় ঘটলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিশাল একটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার ওপর আঘাত আসবে। সরকারের উচ্চ ভ্যাট নীতির কারণে এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদুল্লাহ কোরাইশী সরকারকে আগামী সাত দিনের মধ্যে মিষ্টি ও বেকারি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে সর্বনিম্ন হারে ভ্যাট নির্ধারণের দাবি জানান; অন্যথায় সংগঠনের উদ্যোগে জনমত সৃষ্টি করে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা