১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ মাঘ ১৪৩১, ১৭ রজব ১৪৪৬
`

বকেয়া পরিশোধের দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

-


গাজীপুরে বকেয়া বেতন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সার্ভিস বেনিফিটসহ নারী শ্রমিকদের প্রসূতিকালীন টাকা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। গতকাল সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় ভুক্তভোগী প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক এ বিক্ষোভে অংশ নেয়।

আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, আমাদের বেতনসহ অন্যান্য পাওনা সাত মাস ধরে আটকে রাখেছে কর্তৃপক্ষ। আমরা গত সাত মাস ধরে বকেয়া বেতনসহ প্রভিডেন্ট ফান্ড, সার্ভিস বেনিফিটের টাকা পাইনি। অনেক সহকর্মীরা কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকাও পাওনা রয়েছে। বেতন না পাওয়ায় আমাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বারবার মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েও আমাদের বেতন পরিশোধ করছে না।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর মহানগর সভাপতি শফিউল আলম জানান, গত ২২ নভেম্বর ২০২৩ কারখানাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেন মালিকপক্ষ। কারখানাটি বন্ধ হওয়ার দিন পর্যন্ত প্রায় আট হাজার শ্রমিক কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। বকেয়া বেতন, সার্ভিস বেনিফিট, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা, নারী শ্রমিকদের প্রসূতিকালীন সময়ের টাকা এখনো পরিশোধ করেনি মালিকপক্ষ।

শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সরকার ইতোমধ্যে মালিককে সুদ মুক্ত ১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য লোন পাওয়ার এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত সব শ্রমিক ও স্টাফদের মাঝে লোনের টাকা বিতরণ করেনি মালিক। যার ফলে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। শ্রমিকদের কর্মকালীন সময়ের কয়েক মাসের বেতন ও বন্ধকালীন সময়ের আইনানুগ পাওনাদি পরিশোধ সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২৮ নভেম্বর ২০২৩ শ্রম আইনের সুবিধা থেকে কমিয়ে এনে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী সরকার থেকে পাওনা লোনের ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করার কথা রয়েছে। এরপরেও ১৪ কোটি টাকা পাওনা থাকবেন গাজীপুরের ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকরা।

তিনি আরো জানান, শ্রমিকদের এ আন্দোলন আরো বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। মালিকপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে সাময়িক বিলম্ব হয়েছে। তবে খুব দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল লতিফ জানান, শুক্রবার বেলা ১১টায় ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
ডার্ড গ্রুপের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ফয়েজ আহমেদ বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই শ্রমিকদেরকে ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। একসাথে সব টাকা পরিশোধ করা যায় না। বাকি টাকা অবশ্যই পরিশোধ করে দিব।


আরো সংবাদ



premium cement