১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১, ১৩ রজব ১৪৪৬
`

ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারে শিবিরের ৯ দফা প্রস্তাবনা

-


সর্বশেষ সালে সংস্কারকৃত ডাকসুর গঠনতন্ত্র নিয়ে রয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ডাকসু নির্বাচনের দাবি জোরালো হয়েছে। তবে সব ছাত্রসংগঠন ও অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি বিদ্যমান ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার করার পর নির্বাচন দিতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ডাকসু সংস্কারে ৯ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রশিবির। গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন ঢাবি শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন। প্রস্তাবনায় ‘সংসদের অনির্বাচিত সভাপতির স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা সীমিত ও কার্যনির্বাহী পরিষদকে শক্তিশালী করতে হবে’ এমন দাবি জানানো হয়।
শিবিরের ৯ দফার প্রস্তাবনাগুলো হলো : ১) লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে ধারা ২-ক (স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ ও লালন করা) সংস্কার করে ‘স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সব শিক্ষার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারণ ও লালন করা’ হিসেবে স্থাপন করতে হবে। ২) ডাকসুর ‘লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে’, ‘ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, রাজনৈতিক বিশ্বাস ও মতাদর্শ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ স্বার্থরক্ষা ও অধিকার আদায়ের মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করা এবং শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সব নীতিমালা প্রণয়নে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা’ সংযুক্ত করতে হবে। ৩) ডাকসুর কার্যাবলিতে শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষা ও গণতন্ত্র চর্চা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের উল্লেখ থাকতে হবে। ৪) সংসদের অনির্বাচিত সভাপতির স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা সীমিত ও কার্যনির্বাহী পরিষদকে শক্তিশালী করতে হবে।

৫) ডাকসুকে যুগোপযোগী ও শিক্ষার্থীবান্ধব করার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট কিছু সম্পাদকীয় পদের পরিবর্তন, পরিমার্জন ও সংযোজন করতে হবে। এ প্রস্তাবে ঢাবি শিবির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক পদের নাম পরিবর্তন করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক পদকে আলাদা করে ‘পাঠাগার, পাঠকক্ষ ও কমনরুম বিষয়ক সম্পাদক’ এবং ‘ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিনবিষয়ক সম্পাদক’ নামে দু’টি পৃথক পদে ভাগ করা, সাহিত্য সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদ দু’টিকে একত্র করে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদ তৈরি এবং ‘নারী ও সমতাবিষয়ক’ এবং ‘ধর্ম ও সম্প্রীতিবিষয়ক সম্পাদক’ দু’টি নতুন পদ প্রতিষ্ঠার দাবি জানায়। ৬) বিদ্যমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে হবে। ৭) যেকোনো সময়ে ডাকসুর গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের যে ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটকে দেয়া হয়েছে সেটির পরিবর্তন করে এই এখতিয়ার ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরকে দিতে হবে। ৮) নির্বাহী কমিটির সভায় যেকোনো অ্যাজেন্ডা আলোচনা করার জন্য সভাপতির অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করতে হবে। ৯) গঠনতন্ত্রের অনুল্লিখিত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সভাপতির একক সিদ্ধান্তের পরিবর্তে সংসদের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আশিক, সাবেক প্রচার সম্পাদক হোসেন মোহাম্মদ জুবায়ের, সাবেক সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুর প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement
কসোভোকে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত পোশাক ও ওষুধ আমদানির আহ্বান রাষ্ট্রপতির ভাঙ্গায় বাড়ির কেয়ারটেকার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩ গৌরীপুরে ইটভাটায় ১৪ লাখ টাকা জরিমানা ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিট থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক বাবরের মুক্তিতে বাধা নেই গণভবনে কে বসবে সে সিদ্ধান্ত আর দিল্লি থেকে আসবে না : হাসনাত আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ও উপমন্ত্রী জ্যাকবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পোরশায় ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা নিহত প্লট গ্রহণে অনিয়ম : শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা স্ত্রীসহ সাবেক এমপি জিন্নার ৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ নীলফামারীতে তালার আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু

সকল