মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাও

মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় নতুন করে আরোপিত ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবায় নতুন করে ভ্যাট আরোপ করার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হয়। এই সেবা খাত ধ্বংস করার অপচেষ্টা আগেও করা হয়েছে, এখন আবার নতুন করে ১০% এসডি ও সাথে ভ্যাট যুক্ত করায় গ্রাহকের ভোগান্তি যেমন বাড়বে একইভাবে এই সেবাখাত ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা গ্রাহক এবং সেবা খাতের সবাইকে নিয়ে এনবিআর কার্যালয় ঘেরাও করব।
আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের ছোট ছোট উদ্যোক্তা যেমনভাবে হুমকির মুখে পড়বে ঠিক একইভাবে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত করের চাপ বাড়বে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের বলেন, নতুন করে করের বোঝা শুধু জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলবে না, সরকারকেও ১০ নম্বর সঙ্কেতে ফেলবে। তাই হঠকারী সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।
প্রযুক্তিবিদ ও প্রযুক্তি শিল্প উদ্যোক্তা বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, কারো সাথে আলোচনা না করে নতুন করে ইন্টারনেট সেবায় কর আরোপ এক ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ।
সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করতেই তাদের পরামর্শে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনা না করে কারো সাথে আলোচনা না করে রাতের অঁাধারে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আমরা এনবিআর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করাসহ কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন পাঠাও এর সিইও ফাহিম, প্রযুক্তিবিদ ফিদা হক, ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি আনিসসহ রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।