১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬
`

বিএনপির ২২৭৬ নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ার ও ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্রসফায়ারে হত্যা ও গুমের অভিযোগ দায়েরের বক্তব্য রাখেন মো: সালাউদ্দিন খান : নয়া দিগন্ত -

২০০৮ সাল থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে দুই হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা এবং ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগ করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দায়ের করেন দলের মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা মো: সালাহউদ্দিন খান।
আবেদনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম জাহিদ।
অভিযোগ দাখিলের পর বিএনপি নেতা মো: সালাহউদ্দিন খান বলেন, দুই হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যার এবং ১৫৩ জনকে গুমের তালিকা আমরা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছি। তালিকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইলিয়াস আলীসহ যারা আছেন সবাই পরিচিত। এসব অপরাধ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা করেছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতা কর্মী ও সমর্থকদের ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত অবৈধ ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের সহায়তায় বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অপহরণপূর্বক নির্যাতন ও গুমের পর দিনের পর দিন হেফাজতে রেখে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করে। ২০০৭ সালে তৎকালীন সাময়িক প্রধান মইন ইউ আহমেদ, গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায়, কিছু পুলিশ বাহিনীর সদস্য, আনসার ও বিজিবির সহায়তায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় এনে বিএনপিসহ বিরোধী দলের উপরে দমন নিপীড়ন নির্যাতন করে। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আনে। আবার ২০১৪ সালে একই কায়দায় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচন করে এবং ১৪৬ জনকে অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে, নির্যাতন করে, গুম করে, হত্যা করে, সংসদ নির্বাচন সমাপ্ত করে। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের প্রচার চলাকালে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা কর্মী ও সমর্থকদের উপরে মিথ্যা গায়েবি বানোয়াট মামলা, মিথ্যাভাবে গ্রেফতার করে নির্যাতন, প্রার্থীদের নির্বাচন প্রচারে বাধাদান, অপহরণ, গুরুতর আঘাত, গ্রেফতার, সংসদ নির্বাচন প্রচারে নেতা কর্মীদের অপহরণপূর্বক গুম, খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কেন্দ্রের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়।
একই পদ্ধতিতে ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে সংসদ নির্বাচন করে এবং নির্বাচন চলাকালে জুলুম, নির্যাতন, হত্যা, গুম, অপহরণ ও মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে হাজার হাজার নেতা কর্মীকে জেলহাজতে পাঠায়। অবৈধ ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রধানের নির্দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতি উৎসাহী কিছু সদস্য দমন নিপীড়ন নির্যাতন করে বিএনপিকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করার জন্য ও দল থেকে লোকজন বিচ্ছিন্ন করার জন্যই ক্রসফায়ারের নামে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালায়। ক্রসফায়ারের নামে এই হত্যাকাণ্ডে মোট ২২৭৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন, ধ্বংস করা ও ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করে বিএনপির মতো একটি বড় দল থেকে লোকজনদের শূন্য করা এবং বিএনপির পরিবারদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা, ক্রসফায়ার নামে হত্যা করে বিএনপির দলের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা, সমর্থক ও লোকজনদের দলীয় কার্য থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা ও মেধাশূন্য করা। আওয়ামী লীগের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই জঘন্য কর্মকাণ্ডে ও মিথ্যা বানোয়াট পরিকল্পনা সৃষ্টি করে ক্রসফায়ারের নামে ২২৭৬ জনদের হত্যার ন্যায়বিচার করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা দ্বারা তদন্ত করে, বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে জোর দাবি করছি।


আরো সংবাদ



premium cement
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা লাকসামে ট্রাকচাপায় ব্যবসায়ীসহ নিহত ২ সাজানো ট্রাইব্যুনাল দিয়ে জামায়াতের নেতাদের হত্যা করা হয়েছে : গোলাম পরোয়ার ইমরান খানের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না পিটিআই ঘুষের মামলার রায় স্থগিত রাখার ট্রাম্পের আবেদন খারিজ চীনে শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ প্রথমবারের মতো দেশে ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল, প্রতিপক্ষ বার্সা আবু তালেব মণ্ডলের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক জুলাই ঘোষণাপত্রে সংবিধান নিয়ে কী ভাবনা ইউক্রেন-মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আলোচনায় ম্যাক্রোঁ ও স্টারমার

সকল