রাজপথ বন্ধ করে দাবি আদায়ের চর্চা পরিহার করতে হবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী বলেছেন, নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাচলের কথা চিন্তা করে রাজপথ বন্ধ করে দাবি আদায়ের চর্চা পরিহার করতে হবে। ইদানীং সামান্য কোনো কিছুর দাবি নিয়ে যে কেউ রাজপথ বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে করে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে রাজধানীবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
গতকাল সকালে রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাব, স্যামন এইচ চৌধুরী সেন্টারে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রায় আড়াই কোটি বাসিন্দার চলাচলের বড় রাস্তা রয়েছে মাত্র তিনটি। এর যে কোনো একটি অবরোধ করলে পুরো ঢাকা শহরই অচল হয়ে পড়ে। অথচ বিভিন্ন সংগঠন তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সরাসরি রাস্তা অবরোধ করে বসেন। তাদের দাবিগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উপস্থাপন করে তা সমাধানের চেষ্টা করার অনুরোধ করেন তিনি। অথবা খোলা কোনো মাঠ, অডিটরিয়ামে সমাবেশ করে দাবি উত্থাপন করতে পারেন।
তিনি বলেন, ছিনতাই প্রতিরোধে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশকেও কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি। তবে ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত বেশির ভাগই মাদকাসক্ত কিশোর। তারা ওঁৎ পেতে গাড়িতে থাকা মানুষের মোবাইল টান মেরে নিয়ে যাচ্ছে। কখন কোথায় ছিনতাই করবে সেটা তারাও ঠিকমতো জানে না। আবার তাদের সাথে দৌড়ে পারাটাও দুরূহ। তাই সবাইকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কমিশনার বলেন, নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে ও কাক্সিক্ষত সেবা দিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। নগরবাসীকে ভালো রাখতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এ জন্য একজন পুলিশ সদস্যকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে ঢাকাবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাব।
ক্র্যাবের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে আনন্দিত মনে করে কমিশনার বলেন, ক্র্যাবের সাথে ডিএমপির সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। অতীতে ক্র্যাব যেভাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে সহায়তা করেছে আগামীতেও এই সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, অনেক সময় কাজ করতে গিয়ে আমার সহকর্মীদের ভুলভ্রান্তি হয়ে যায়। ভুলত্রুটি সংশোধন করে যাতে নগরবাসীকে তাদের প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারি সে জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।
ক্র্যাবের আসন্ন নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হবে তাদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে কমিশনার বলেন, আপনাদের যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে আমার কাছ থেকে বা আমার সহকর্মীদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য নিয়ে প্রকৃত ঘটনার রিপোর্ট প্রকাশ করবেন।
কমিশনারের বক্তব্যের পরে শুরু হয় ক্র্যাবের বার্ষিক সাধারণ সভা। দিনব্যাপী প্রাণবন্ত আর উচ্ছ্বাসের মধ্যে চলে বার্ষিক সাধারণ সভার কাজ। এসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজী। এ সময় সহ-সভাপতি শাহীন আবদুল বারী, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপন দেওয়ান বক্তব্য রাখেন। ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ দিনব্যাপী এই বার্ষিক সাধারণ সভা উপভোগ করেন ও বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি আরো আলোকিত করে তুলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা