০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬
`

চাকরিতে যোগদানের দাবিতে সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

-

সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক-২০২৩ (৩য় ধাপ) এর আওতায় ছয় হাজার ৫৩১ জনকে অবিলম্বে যোগদানের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তিনটি ধাপে দেয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম এবং অপেক্ষমাণ তালিকা থেকেও নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে প্রহসন যেন থামছেই না। ২০২৩ সালের ১৪ জুন তারিখের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৯ মার্চ, ২০২৪। এ ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় ২১ এপ্রিল, ২০২৪ এবং ১২ জুন ভাইভা সম্পন্ন হয়।
এ দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কোন নিয়ম অনুসারে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে তার ব্যাখ্যা চেয়ে জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করে ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হয়। এর আগে ২০১৮ সালে সরকার যখন কোটা বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল, তখনো প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব নিয়োগ বিধিমালা অনুসারে। যা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ নামে পরিচিত।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মোখলেসুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান যে, কোটা নিয়ে হাইকোর্টের যে রায়, সেটা নতুন চাকরির ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে ২৩ জুলাইয়ের পরে রেল, এলজিইডিসহ বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পূর্বের বিধিমালা অনুসরণ করে ফলাফল প্রকাশ করেছে এবং নতুন অনেক সার্কুলারে পূর্বের বিধিমালা অনুসরণ করেই সার্কুলার প্রকাশিত হচ্ছে।

কিন্তু কেন নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে ফলাফল প্রকাশ করা হলো না তা জানতে চেয়ে ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করে, যারা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৬৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। ইতোমধ্যে চেম্বার জজ আদালত, আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্টে তিনটি শুনানির পরও কোনো সুরাহা হয়নি।
উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর ২০২৪ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ জেলা শিক্ষা অফিস এবং ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ স্কুল পদায়ন সম্পর্কিত নিয়োগ আদেশ জারি করা হয়। নিজ নিজ জেলা সিভিল সার্জনে মেডিক্যাল টেস্ট এবং জেলা শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানও সম্পন্ন করা হয়েছে। অনেক জেলার কিছু কিছু উপজেলায় চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তরা যোগদান পত্রও হাতে পেয়েছে।
এমনকি অনেকে সরকারি চাকরি করত তারা এই প্রাথমিকে যোগদান করার জন্য কর্মরত চাকরি থেকে অব্যাহতিও নিয়েছে। চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও যোগদান করতে না পেরে ছয় হাজার ৫৩১টি পরিবার এ অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির জন্য ভুক্তভোগী এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে।
এ মুহূর্তে আমাদের দাবি আমরা অবিলম্বে যোগদান করতে চাই। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement