০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

বিতর্কিত ব্যক্তিকে মাউশির ডিজির ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়ায় ক্ষোভ

অতীতের নিয়ম না মানায় শিক্ষা প্রশাসনের সর্বত্রই সমালোচনা
-

নিয়ম ও বিধিবহির্ভূতভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) বিতর্কিত কর্মকর্তাকে মহাপরিচালকের (ডিজি) ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়ায় শিক্ষা প্রশাসনের সর্বত্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। মাউশির সদ্য বিদায়ী ডিজি প্রফেসর রেজাউল করিম গত ২ জানুয়ারি অবসরে চলে যাওয়ার পর শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিদায়ী ডিজির বন্ধু হিসেবে পরিচিত এ কিউ এম শফিউল আজমকে। বর্তমানে তিনি মাউশিতে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও আগের তথ্য উপাত্ত বলছে ইতঃপূর্বে মাউশির ডিজির পদ শূন্য হলে এই পদে দায়িত্ব পালন করতেন মাউশির কলেজ প্রশাসন কিংবা মাধ্যমিক শাখার পরিচালক। কিন্তু এবারই প্রথম আগের সব নিয়ম বা প্রথা ভেঙে বিতর্কিত এক কর্মকর্তাকে ভারপ্রাপ্ত ডিজি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও আগের পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ করে দীপু মনির একান্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি এই শফিউল আজমের অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে পুরো শিক্ষা সেক্টরেই নানা ধরনের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। শত শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশে এখনো কিভাবে আওয়ামী লীগের দোসর ও বিশেষ সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিরা এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রমোশন পাচ্ছে তা নিয়ে রীতিমতো কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মাউশির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিগত দিনে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য দায়ী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির একান্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি এবং বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের সাথে জড়িত বিতর্কিত এই কর্মকর্তাকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিকল্পনা শাখার পরিচালক করা হয় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের দীপু মনির অনুগ্রহে। কিন্তু গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পরও তিনি দীর্ঘ দিন মাউশিতেই বীরদর্পেই টিকে আছেন। অভিযোগ রয়েছে গত ১৭ বছরে তিনি ঢাকাতেই বিভিন্ন লোভনীয় পদে চাকরি করে আসছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, শফিউল আজম গত ১৭ বছরের পুরো সময়টাই কাটিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল ও বিদেশে পাড়ি জমিয়ে কথিত পড়াশোনায়।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম কামাল হোসাইন নয়া দিগন্তকে জানান, এ কিউ এম শফিউল আজম চিহ্নিত আওয়ামী লীগের কর্মীর মতো বিগত দিনে কাজ করেছেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সাথে যোগসাজশে শিক্ষা প্রশাসনের কোনো নিয়মশৃঙ্খলাই মানেননি।

আর্থিকভাবেও অনিয়মের সাথেও সরাসরি জড়িত ছিলেন। অথচ দেশ থেকে আওয়ামী লীগের প্রধান থেকে শুরু করে তাদের সাঙ্গোপাঙ্গরাও অনেকে পালিয়ে গেছেন। কিন্তু এরপরও কিছু কিছু কর্মকর্তা এখনো শিক্ষা সেক্টরের বড় বড় পদগুলোতে পদায়ন পাচ্ছেন। এটা দুঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, মাউশিতে অনেক যোগ্য দক্ষ ও সিনিয়র কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে যে কাউকে ডিজির ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হলে এই বিকর্ত হতো না।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ছিল মাউশির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীমের শেষ কর্মদিবস। বিধান, রেওয়াজ ও নজির হলো মহাপরিচালক অবসরে গেলে বা বদলি হলে বা মারা গেলে পরিচালক কলেজ ও প্রশাসন তৎক্ষণাৎ ওই দায়িত্ব পান। এরপর মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয় আর্থিক ক্ষমতাও দেবে নাকি নতুন কাউকে মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেবে নাকি চলতি দায়িত্বে দেবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রংপুরের পাঁচে পাঁচ, ঢাকার টানা চার হার কুয়েটে ১০৬৫ আসনের বিপরীতে ২৪ হাজার ৫২৭ শিক্ষার্থী কুখ্যাত গুয়ানতানামো কারাগার থেকে মুক্তি ১১ ইয়েমেনির ৫ মাসের অর্জনে খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক : মুখপাত্র শিখা জানা গেল কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় সচিবালয়ের সামনে পুলিশের সাথে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ি, জমি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ ইবির পাঠ্যসূচিতে যুক্ত হচ্ছে জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রসহ ২ জনের মৃত্যু নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত চেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসের সদস্যপদ পেল ইন্দোনেশিয়া

সকল